যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির বর্তমান মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। আজ মঙ্গলবারই তার শপথ নেবেন তিনি।
নানা নাটকীয়তার পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরপর শুরু হয় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করেন।
এদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাস নির্বাচিত হওয়ায় দেশটির অর্ধেক নাগরিক হতাশ হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত ‘ইউগভ’ -এর জরিপ ফলাফল এই তথ্য দিয়েছে।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এবং তিনি দেশের মন্ত্রিসভা গঠন করবেন এ কথা জেনে ব্রিটেনের অর্ধেক মানুষ হতাশা প্রকাশ করেছে। এছাড়া, দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ‘গভীর হতাশা’ প্রকাশ করেছে।
মাত্র শতকরা চার ভাগ মানুষ ‘খুবই সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছে । এছাড়া শতকরা ১৮ ভাগ মানুষ মোটামুটি খুশি।
ব্রিটেনে জীবনযাত্রার ব্যয় যে মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে লিজ ট্রাস সক্ষম হবে কি না তা নিয়ে শতকরা ৬৭ ভাগ মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এই মুহূর্তে ব্রিটেনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইউগভের আরেকটি জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ বলেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ওপর তাদের কোনও রকমের আস্থা নেই।
আগের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নানা কেলেঙ্কারির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে ব্রিটেনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রশ্ন আসে। সেক্ষেত্রে কনজারভেটিভ পার্টির যে কয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন তার মধ্যে লিজ ট্রাস এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এগিয়েছিলেন। তবে চূড়ান্ত ভোটের ফলাফলে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্র: ইউগভ ওয়েবসাইট
বিডি প্রতিদিন/কালাম