উত্তর কোরিয়া এমন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপান সাগরে নিক্ষেপ করেছে - যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। এ কথা বলেছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটি হোক্কাইডোর ২১০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপান সাগরের পানিতে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াও শক্ত পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে রবিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র আদ্রিয়েনে ওয়াটসন বলেছেন, জো বাইডেনকে সব জানানো হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
উত্তর কোরিয়া গত দুই মাসে পঞ্চাশটির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে এগুলোর বেশির ভাগই স্বল্প পাল্লার। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘটনা বিরল এবং এটি সরাসরি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ, এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো জায়গায় আঘাত করতে সক্ষম।
সর্বশেষ যে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায়- সেটি পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকেই ছোঁড়া হয়েছে বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর। এটি প্রায় ৬১০০ কিমি উচ্চতা দিয়ে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে। এটি মহাকাশের বেশ উঁচু দিয়েই উড়ে গেছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটির যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত করার ক্ষমতা আছে। সব হিসেবনিকেশ করে তারা দেখেছেন যে, এটি ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরেও আঘাত করতে পারে। যদিও এটি নির্ভর করে কত ওজনের অস্ত্র সেটি বহন করে নিয়ে যাচ্ছে তার ওপর।
সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ