প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে রাশিয়া। এর অংশ হিসেবে রুশ সামরিক বাহিনী আকস্মিকভাবে সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যখন প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব চলছে তখন এই মহড়া চালানো হলো।
শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছেন, সাগর এবং মহাসাগর দিয়ে শত্রুদের সম্ভাব্য যেকোন আগ্রাসন প্রতিহত করার সক্ষমতা যাচাই করার জন্য এই সামরিক মহড়া চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আকস্মিক এই মহড়া চালানোর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেকোনো দিক দিয়ে শত্রুর আগ্রাসন মোকাবেলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র এবং সামরিক কমান্ডের প্রস্তুতি যাচাই ও তাদের সক্ষমতা বাড়ানো।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর কল্পিত শত্রু হিসেবে রাশিয়ার শাখালিন দ্বীপ এবং দক্ষিণের কুড়িল দ্বীপপুঞ্জে অবতরণ করে এবং তাদেরকে সামরিক বাহিনীর আরেকটি দল মোকাবেলা করে।
তিনি বলেন, বাস্তবে শত্রুর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হলে, ওখোস্টস্ক সাগর ও দক্ষিণ কুড়িল দ্বীপপুঞ্জ এবং শাখালিন দ্বীপে শত্রু বাহিনীর অবতরণ ঠেকাতে সেনা মোতায়েন জরুরি।
সের্গেই শোইগু আরো জানান, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশক্রমে ভ্লাদিভস্টকে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের সদরদপ্তরকে উচ্চ সতর্কতার আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভও নিশ্চিত করেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মহড়া চালানোর সময় রাশিয়ার নৌবাহিনীকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়।
মহড়া সম্পর্কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আঞ্চলিক চলমান উত্তেজনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বরং এটি রুটিন মহড়া। এর মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়বে বলেও দাবি করেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত