মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চলমান সংঘাতের মধ্যে ইউক্রেনকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট-ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া হলে এর অনিবার্য ফল হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। কিন্তু তেমন পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর কারও কাম্য নয়।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ইউক্রেন ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হবে এবং এটি ‘আলোচনাযোগ্য’ কোনও বিষয় নয়।
তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সংঘাত চলমান থাকা অবস্থায় ইউক্রেনকে এই সামরিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ হবে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া।
সুলিভান বলেন, ন্যাটো জোটে প্রবেশের আগে ইউক্রেনকে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
আমেরিকা এমন সময় রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোর দাবি করছে যখন ওয়াশিংটন এ পর্যন্ত কিয়েভকে যুদ্ধ করার জন্য কয়েক হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র দিয়েছে। জ্যাক সুলিভান তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ইউক্রেনের প্রতি এই সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ন্যাটো জোটের আর্টিকেল ৫-এ বলা হয়েছে, এটির যেকোনও একটি দেশে হামলাকে গোটা জোটের ওপর হামলা হিসেবে ধরা হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান অবস্থায় দেশটিকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিলে জোটের সবগুলো দেশকে একসঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের দরখাস্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যেকোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। সূত্র: পলিটিকো
বিডি প্রতিদিন/কালাম