উপসাগরীয় অঞ্চল সফরের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত গিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বিগত দুই বছরে দেশ দুটির মধ্যে নতুন অনেক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও উন্নতি ঘটেছে।
তুরস্কের সাথে আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে। ৯.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিগত কয়েক বছরে এই দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা নিয়েছে।
আরব আমিরাতের শীর্ষ দশ ব্যবসায়িক অংশীদারের একটি দেশ হলো তুরস্ক। আরব আমিরাতের পর্যটন, প্রযুক্তি ও তেলক্ষেত্র গুলিতে বিনিয়োগ করছে তুরস্ক।
উপসাগরীয় অঞ্চল সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরব ও কাতারের পর বুধবার আরব আমিরাতে পৌঁছান এরদোগান। এর আগে কোভিড-১৯ এর পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য দুটি দেশের মধ্যে তোড়জোড় দেখা যায়। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তুরস্ক সফর করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনোন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। এর কয়েক মাস পর নভেম্বরে আঙ্কারা সফর করেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবুধাবি সফর করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
চলতি বছর বছর মার্চে এরদোয়ান ও আল নাহিয়ান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটা সম্মেলনে অংশ নেন। এই সম্মেলনের পর আল নাহিয়ান জুনের ১০ তারিখে ইস্তাম্বুল আসেন। তার এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেওয়া। দুই নেতা এসময় ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বসে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলানের মধ্যকার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচটি দেখেন।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ এবং কোষাগার ও অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী মেহমেত সিমসেকও ২২ জুন আবুধাবিতে প্রেসিডেন্ট আল নাহিয়ানের সাথে দেখা করেছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল