আগামী বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বারবার দাবি করেছেন, ক্ষমতায় আসার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে সক্ষম হবেন।
সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে ইউরোপীয় সেনাবাহিনী রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ৮০০ মাইলের একটি বাফার জোন রক্ষা করবে বলে জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা
ট্রাম্পের তিনজন কর্মকর্তার মতে, এই পরিকল্পনার আওতায় বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের বর্তমান ফ্রন্ট লাইনকে অপরিবর্তিত রাখা হবে এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকতে বলা হবে। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে বিশাল পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করবে, যাতে তারা রাশিয়াকে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করা থেকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।
তবে, ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না। তার পরিবর্তে পোল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো এই বাফার জোন রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। ট্রাম্পের এক সহযোগী বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যদের ইউক্রেনে শান্তি রক্ষায় পাঠাবো না এবং আমরা এর ব্যয়ভারও বহন করবো না। এই কাজ ইউরোপীয়দের করতে হবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে সংলাপ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয়ের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার সঙ্গে কথা বলেন। জেলেনস্কি এক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠ সংলাপ বজায় রাখা এবং আমাদের সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছি। বিশ্ব এবং ন্যায্য শান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব অপরিহার্য।’
পুতিনের প্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ট্রাম্পকে তার বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের সাথে আলোচনার জন্য আমি প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, জেলেনস্কি বারবার বলেছেন, শান্তি তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে, যখন রুশ সেনারা ইউক্রেন ছেড়ে চলে যাবে এবং মস্কো কর্তৃক দখল করা সব এলাকা, বিশেষত ক্রিমিয়া, ইউক্রেনের কাছে ফিরে আসবে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে দখল করে এবং বর্তমানে প্রায় ২০% ইউক্রেনীয় এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল