১২ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়েছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার উপ কারাগার থেকে ওই ১২ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কাকদ্বীপের বিডিও ও কাকদ্বীপ থানার অফিস-ইন-চার্জ (আইসি)র উপস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবার উপ সংশোধনাগার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রায় তিন মাস আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বহনকারী একটি ট্রলার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার কাছে মাঝ সমুদ্রে ডুবে যায়। এরপর তাদেরকে উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী, পরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১৪ ফরেনারস অ্যাক্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদেরকে পাঠানো হয় ডায়মন্ড হারবার উপ-কারাগারে।
সম্প্রতি বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সেই হিসেবে মঙ্গলবার তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে কাকদ্বীপের বিডিও ও কাকদ্বীপ থানার আইসির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সেখান থেকে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদেরকে সাময়িক সময়ের জন্য স্থানীয় কাকদ্বীপের অক্ষয় নগর ফ্লাড শেল্টারে রাখা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাদেরকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়া হবে এবং আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই বিএসএফের পক্ষ থেকে এসকর্ট করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হবে।
কারাগারের কন্ট্রোলার দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, 'আমরা আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য। ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, 'মঙ্গলবার দুপুরের দিকে, বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ডায়মন্ড হারবার সাবসিডিয়ারি কারেকশনাল হোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।'
বিডি প্রতিদিন/হিমেল