ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেওয়া আহত এক উত্তর কোরীয় সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এটি ইউক্রেন যুদ্ধে আটক কোনো উত্তর কোরীয় সেনার প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (NIS) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিত্র দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী একজন আহত উত্তর কোরীয় সেনাকে আটক করেছে। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় ওই সেনার মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, ওই সেনার একটি ছবি টেলিগ্রাম অ্যাপে প্রকাশ করা হয়। ছবিতে তাকে আহত ও শারীরিকভাবে দুর্বল দেখা যায়। ইউক্রেনীয় বিশেষ বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় একটি সংবাদমাধ্যম।
ইউক্রেনীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা GUR জানিয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ে উত্তর কোরীয় সেনারা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। ইউক্রেনীয় হামলার ফলে তাদের সরবরাহ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। খাবার পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকটে রয়েছে তারা।
এ সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেন, কুরস্ক অঞ্চলে ৩,০০০-এরও বেশি উত্তর কোরীয় সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। এটি উত্তর কোরীয় সেনাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রথম বড় পরিসংখ্যান।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে মিউচুয়াল ডিফেন্স প্যাক্ট সইয়ের পর প্রায় ১১,০০০ উত্তর কোরীয় সেনাকে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কৌশলগতভাবে এই মোতায়েন যুদ্ধের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে, অপরিচিত যুদ্ধক্ষেত্র এবং অপ্রস্তুত অবস্থায় উত্তর কোরীয় সেনারা দ্রুতই ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে এই মোতায়েন উত্তর কোরিয়ার জন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হতে পারে। তবে তাদের অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং অচেনা পরিবেশে যুদ্ধে টিকে থাকা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। যুদ্ধের এই নতুন পর্বে রাশিয়া তৃতীয় দেশের সরাসরি অংশগ্রহণ ঘটিয়ে সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল