রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান সংঘাত নিরসনে স্লোভাকিয়ার শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে রাশিয়া ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। বৃহস্পতিবার মস্কোতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর সঙ্গে বৈঠক শেষে পুতিন এ মন্তব্য করেন।
পুতিন বলেন, স্লোভাকিয়া তাদের দেশকে আলোচনার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কেন নয়? স্লোভাকিয়া একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুরাজ ব্লানার বলেন, তাদের দেশ দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কাজ করছে। পুতিনের মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য একটি ‘ইতিবাচক সংকেত’। তিনি আরও জানান, অক্টোবর মাসে একটি যৌথ মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্লোভাকিয়া ইউক্রেনের প্রতি এ প্রস্তাব জানিয়েছিল।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার স্লোভাকিয়ার রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতায় ফিরে ফিকো রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করেছেন, যা ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগের কারণ।
পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে ইউক্রেনে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এদিকে, পুতিন আরও জানান, রাশিয়া নতুন মধ্যম-পাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ প্রয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে এই অস্ত্র এক্ষুণি প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।
পুতিন বলেন, প্রয়োজনে আমরা এটি এখন বা আগামীতে ব্যবহার করতে পারি। তিনি আরও জানান, রাশিয়ার শক্তিশালী অস্ত্র প্রয়োগের প্রস্তুতি সবসময় রয়েছে।
এই শান্তি প্রস্তাব রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করতে পারে। তবে দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফেরানো এবং প্রকৃত সমাধানে পৌঁছানো এখনও সময় সাপেক্ষ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল