ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন তার আসন্ন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি হিসেবে। স্ত্রী মেলানিয়া এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে তিনি ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি ভার্জিনিয়ার গলফ ক্লাবে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে আতশবাজি প্রদর্শনীসহ আরও কিছু বিশেষ আয়োজন ছিল।
শপথের আগেই ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে জানান, শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বিপুল সংখ্যক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এই আদেশের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়াবে বলে তার আশা। তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের বেশ কিছু নীতি বাতিল করার পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।
ট্রাম্প তার প্রথম দিন থেকেই অভিবাসন নীতিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন খুব দ্রুত শুরু হবে। তবে কোন শহরগুলোতে অভিযান হবে তা এখনই প্রকাশ করেননি।
ট্রাম্পের প্রশাসন গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শিকাগোতে একটি বড় ধরনের অভিযানের গুঞ্জন উঠে। তবে ট্রাম্পের ‘বর্ডার সিজার’ টম হোম্যান বলেন, গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে এবং তা পর্যালোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, প্রশাসনের নতুন নির্দেশনায় দেশজুড়ে জননিরাপত্তার হুমকি হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বরাবরের মতো ক্যাপিটল ভবনের বাইরে না হয়ে ভেতরে অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাম্প জানান, শীতল আবহাওয়ার কারণে এটি নিরাপদ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত।
শপথের প্রস্তুতির মধ্যেই হাজারো মানুষ ওয়াশিংটনের রাস্তায় ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। তবে শপথের আগে ট্রাম্প আরলিংটন জাতীয় সমাধিক্ষেত্রে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সমর্থকদের সঙ্গে একটি সমাবেশে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল