দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আশাবাদী যুবসমাজ। আর সবচেয়ে বেশী হতাশা প্রকাশ করেছেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষরা।
সিবিএস এবং ইউগভ পরিচালিত জরিপে এমন মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রাক্কালে প্রকাশিত এ জরিপে অংশগ্রহণকারি ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়েসী যুব সমাজের ৬৭% বলেছেন যে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্সিকে তারা স্বাগত জানাচ্ছেন এবং খুবই উৎসাহবোধ করছেন সামনের চারটি বছর নিয়ে। আর সকল বয়সী আমেরিকানের ৬০% এর মধ্যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি নিয়ে এমন উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ঘটেছে।
তবে সিনিয়র সিটিজেন তথা ৬৫ বছরের অধিক বয়সী মানুষের সিংহ ভাগেরই হতাশা প্রকাশিত হয় বলে জরিপ পরিচালনাকারীরা উল্লেখ করেছেন। গত চার বছরে বাইডেনের দুর্বল শাসনামলের অস্থিরতা কাটিয়ে সুন্দরভাবে দিনাতিপাতের অভিপ্রায়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা এবং বিচক্ষণতার যুগে নিয়ে যাবার অঙ্গীকারের বাস্তবায়নের অপেক্ষায় তারা।
উল্লেখ্য, ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স’ স্লোগানে চার বছর আগে সমগ্র আমেরিকায় যারা ট্রাম্প-বিরোধী মনোভাবকে জাগ্রত করেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের হেলাফেলাকে যারা সহ্য করতে না পেরে রাজপথে তুমুল আন্দোলন রচনা করেছিলেন, চার বছরের ব্যবধানে সেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ট্রাম্প-প্রশাসন নিয়ে কেন এমন পরিবর্তন? এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এ্যাসপার বলেছেন, প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প এমন আন্দোলন দমনে পুলিশী ক্ষমতা প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিলেন। আর এখন যুব সমাজে বিশ্বাস আর আস্থা জন্মেছে যে, ট্রাম্পই তাদের সুন্দর দিনাতিপাতের পথ সুগমে অধিকতর অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। একই প্রত্যাশা জোরালো হওয়ায় সর্বশেষ নির্বাচনে হিসপ্যানিক পুরুষ ভোটারের অধিক ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প।
শুধু তাই নয়, ডেমক্র্যাটদের কৃষ্ণাঙ্গ ভোট ব্যাংকেও চিড় ধরাতে সক্ষম হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুব সমাজের মধ্যে ট্রাম্পের আশা জাগানিয়া বক্তব্য-বিবৃতিও প্রভাব ফেলেছে বলে জরিপ পরিচালনাকারীরা মনে করছেন। সারা আমেরিকায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পরিচালিত এ জরিপে আরো উদঘাটিত হয়েছে যে, ২০২০ সালে বাইডেনের প্রতি যে জনপ্রিয়তা ছিল, তার চেয়ে ২% বেশি জনপ্রিয়তা দেখা গেল এবার ট্রাম্পের প্রতি। জরিপে আরো দৃশ্যমান হয় যে, সামনের চার বছর ভোটারের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে অর্থনীতির সমৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসে সর্বশক্তি নিয়োগ এবং অপরাধ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। জরিপে অংশগ্রহণকারিদের ৭৪% মনে করছেন যে, খাদ্য-সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হ্রাসে ট্রাম্পের পদক্ষেপ সুফল আনবে। মাত্র ৩৯% মনে করেছেন যে দ্রব্যমূল্য তেমনভাবে হ্রাস পাবে না। অধিকন্তু ৩৭% এর ধারণা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আরো বাড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল