দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দায়েরের সুপারিশ করেছেন দেশটির তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তারা সামরিক আইন জারির ঘোষণার তদন্তের ফলাফল প্রসিকিউটরদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দায়েরের সুপারিশ করেছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ইউনের বেসামরিক শাসন স্থগিত করার প্রচেষ্টার ৫১ দিনের তদন্তের পর দুর্নীতি তদন্ত অফিস বলেছে, ইউনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হচ্ছে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার।
প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে নতুন আগত ইউন সুক ইউল ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয়ী হন। কিন্তু দ্রুতই তিনি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন, যার বেশিরভাগ ছিল তার স্ত্রী কিম কিওন হি-কে নিয়ে।
গত এপ্রিলের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে বিরোধী দল ভূমিধ্বস জয় পাওয়ার পর, ইউন কার্যত লেম ডাক কিংবা দুর্বল প্রেসিডেন্টে পরিণত হন, যার ক্ষমতা বলতে ছিল কেবল বিল ভেটো দেয়া। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ইউন মার্শাল ল’র ঘোষণা দেন।
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারি করলে এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পার্লামেন্ট এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ফলে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
ভোটে পরাজিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহার করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বশেষ সামরিক শাসন জারি হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। সেসময় দেশটির দীর্ঘসময়কার সামরিক স্বৈরশাসক পার্ক চুং হি অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছিলেন। পরে ১৯৮৭ সালে দেশটি সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করার পর এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত