মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার) ভারতের ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নীতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ভারত সরকারের অতিরিক্ত কনটেন্ট সেন্সরশিপের প্রচেষ্টা গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রের সাতারায় এক পোস্টে শাসক দলীয় এক নেতাকে ‘নির্বোধ’ বলা হয়। পুলিশ ওই পোস্টকে ‘সম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে’ বলে উল্লেখ করে এবং এক্সকে তা সরাতে নির্দেশ দেয়। এমন অনুরূপ বহু কনটেন্ট অপসারণ নির্দেশনার বিরুদ্ধে এক্স চলতি বছরের মার্চে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। এখন পর্যন্ত আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। যদিও এ নিয়ে ভারত সরকার ও এক্স কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সরকার ২০২৩ সালে একটি নির্দেশনায় কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা ও পুলিশকে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সরানোর ক্ষমতা প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ‘সহযোগ’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়, যার মাধ্যমে সরাসরি কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ দেওয়া যায়। এক্স এই ওয়েবসাইটে অংশ না নিয়ে এটিকে ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং আদালতে চ্যালেঞ্জ জানায়।
আদালতে জমা দেওয়া নথিতে এক্স দাবি করেছে, বহু নির্দেশনা ছিল ব্যঙ্গচিত্র, সমালোচনামূলক সংবাদ ও রাজনৈতিক বিদ্রূপ সরানোর জন্য, যা সরাসরি গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক্সে ভুয়া খবর, ঘৃণা ছড়ানো কনটেন্ট ও অবৈধ উপাদান ছড়ানো হচ্ছে। সাইবারক্রাইম বিভাগ জানায়, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ১,৪০০টি পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার ৭০ শতাংশই সরকারের পক্ষ থেকে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ