সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

শহরে ঢুকে ২৫ জনকে হত্যা করল মিয়ানমার সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের দেপাইন শহরে অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবারের ওই অভিযানে অন্তত ২৫ জন গণতন্ত্রপন্থিকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা সবাই জান্তাবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। দেপাইন শহরটির অবস্থান রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে। এদিনের সহিংসতার বিষয়ে সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউলাইট অব মিয়ানমারের দাবি, অঞ্চলটিতে টহলরত অবস্থায় থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তারা একজন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ছয়জন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা অভিযান চালায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভোরে চারটি সামরিক ট্রাক নিয়ে অঞ্চলটিতে ঢুকে পড়ে সেনা সদস্যরা। সংঘর্ষের পর মোট ২৫টি মরদেহের সন্ধান মিলে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ফোনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিহতের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছে রয়টার্স। তবে মিয়ানমারের বাস্তবতায় সংবাদমাধ্যমটির পক্ষে স্বাধীনভাবে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিদো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে সু চি সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর অ্যাকশনে যায় সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর হাতে আট শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধরপাকড়ের শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর