বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েন

♦ আদালত অবমাননার অভিযোগে ১৫ মাসের সাজা খাটছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা ♦ রায়ের পরে বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে ৩০ জন নিহত

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাদন্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সরকার। বিক্ষোভের মধ্যেই জুমার সমর্থকদের দোকানে লুটসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়। একই দিন শীর্ষ আদালতে কারাদন্ড চ্যালেঞ্জ করেছেন জুমা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি মামলার তদন্তের সময় আদালত অবমাননার দায়ে ১৫ মাসের কারাদন্ড পাওয়ার পর গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে ধরা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। এর পরই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর সমর্থকরা। এ বিক্ষোভে অন্তত ৩০ জন নিহত হন। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ শতাধিক। সোমবার জ্যাকব জুমার নিজ প্রদেশ কাওয়াজুলু নাটালের পিয়েটারমার্টিজবার্গ শহরের একটি শপিং সেন্টারে আগুন ধরিয়ে দেন তার সমর্থকরা। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ভবন ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার ছবিও দেখা গেছে। দোকানে লুটপাট চালানোর ভিডিও সামনে এসেছে। পিয়েটারমার্টিজবার্গ শহরের অবস্থা ভঙ্গুর বলে জানিয়েছেন সেখানে থাকা বিবিসির প্রতিবেদক। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন বিক্ষোভকারীরা। রাতভর সেখানকার একটি শপিং সেন্টারে লুটপাট চলে বলেও জানিয়েছেন ওই প্রতিবেদক। পুলিশ বলছে, বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা। এ ছাড়া সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে গাউতেং প্রদেশের জোহানেসবার্গ শহরেও। রবিবার লাঠিসোঁটাসহ সেখানে বিক্ষোভ করেন জুমা সমর্থকরা। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি করোনা টিকাদান কেন্দ্র। দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দুটি প্রদেশে কয়েক দিনে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ নিরসনে পুলিশকে সহায়তাদানে সেনা সদস্যদের নামানো হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্‌বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, কোনো কিছু দিয়েই সহিংসতার ন্যায্যতা প্রমাণ করা যায় না।

এদিকে গতকাল দেশটির পুলিশ বলছে, যেভাবে লুটপাট চলছে তা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে। তবে এখনো পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নসিভিওয়ে মাপিসা-নাকাকুলা। তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা জারির মতো অবস্থায় যায়নি দেশ।

এদিকে সোমবার জাতীয় টেলিভিশন ভাষণে  প্রেসিডেন্ট সাইরিল রামাফোসা বলেন, মারাত্মক সহিংসতা দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য দুটিকে আঁকড়ে ধরেছে। তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে দিনরাত বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা চলছে। সম্পত্তি ধ্বংস এবং এ ধরনের লুটপাট দেশটির ইতিহাসে খুব কমই দেখা গেছে।

সর্বশেষ খবর