মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাইডেন-শি বৈঠকের আগে তাইওয়ান নিয়ে লড়াই

বাইডেন-শি বৈঠকের আগে তাইওয়ান নিয়ে লড়াই

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মধ্যে গত রাতেই বৈঠক হওয়ার কথা। তবে এ বৈঠক ভার্চুয়াল। তবে এ বৈঠকের আগেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ অনেক ওপরে উঠেছে তাইওয়ান ইস্যুতে।

সম্মেলনের আগেই মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন চীনকে সাবধান করে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা যেন তাইওয়ানের ওপর সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ না দেয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইকে ব্লিংকেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থায়িত্ব চায় আমেরিকা।

গত সপ্তাহে গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে দুই দেশ যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে বিস্মিত করেছে সবাইকে। তাই বলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়নি। পক্ষান্তরে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সামরিক উত্তেজনা দুই দেশের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে এ দুই শক্তিধর দেশের দুই নেতার মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনা। গতকাল শেষ খবর পর্যন্ত এ বৈঠকে উঠে আসতে পারে কণ্টকিত কিছু ইস্যু। আলোচনার টেবিলে থাকবে সাইবার নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের মতো ইস্যু। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

চীনের বক্তব্য : চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আমেরিকাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, তারা যে কাজ করছে তাতে তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি বিঘিœত হবে। শেষ পর্যন্ত তা আমেরিকার পক্ষে বুমেরাং হয়ে ফিরবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রতি রীতিমতো কড়া নীতি নিয়ে চলেছিলেন। বাইডেন আসার পরও আমেরিকার চীন-নীতি খুব একটা বদলায়নি। বাইডেন প্রশাসন চীনের উত্থানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখে। জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসেছেন জো বাইডেন। তখন থেকে এ দুই নেতার মধ্যে দুই দফা বৈঠক হয়েছে। তাতে তাঁরা সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কবিষয়ক জাতীয় কমিটির কাছে লিখিতভাবে শি জিন পিং জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সঠিক পথে আনতে কাজ করতে প্রস্তুত চীন। তিনি বলেছেন, এটা করতে যথাযথ ও একমাত্র পন্থা হলো সহযোগিতা। ওদিকে বৈঠকের ফল কী হবে তা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির সাংবাদিক ঝাওয়িন ফেং বলছেন, প্রত্যাশা খুবই সামান্য। তবে প্রকৃত সত্য হলো উদ্ভূত বিরোধপূর্ণ অবস্থার মধ্যে এ বৈঠক হতে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর