ইরানে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে ১৯ বছর বয়সী সেলিব্রিটি শেফ মেহরশাদ শাহিদিকে হত্যা করেছে রেভুলুশনারি গার্ড ফোর্স। শাহিদি যিনি ইরানের জেমি অলিভার নামেও পরিচিত ছিলেন। সুস্বাদু রান্নার জন্য দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিলেন শাহিদি। এক দিন পরই ২০ বছরে পা দিতেন তিনি।
ইরানের নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী মাসা আমিনি। হেফাজতে চলা পুলিশি অত্যাচারের জেরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। সেই থেকে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে ইরানে। সেই আন্দালনে যোগ দেওয়ায় ২৫ অক্টোবর শাহিদিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গেছে, মাথায় আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে তার। শাহিদির পরিবারের দাবি, তাদের ছেলের হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলার জন্য চাপ দিচ্ছে প্রশাসন। এদিকে, ইরানের প্রধান বিচারপতি আবদোলমেহদি মৌসাভি অবশ্য জানিয়েছেন, শাহিদির দেহে, হাত, পা বা মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন মেলেনি। শাহিদির মৃত্যু নিয়ে ইরানে নতুন করে অশান্তির আগুন জ্বলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২৯ অক্টোবর তার জানাজার পর বিক্ষোভ মিছিলে পা মিলিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
১ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের : তেহরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সম্পৃক্ততার জন্য প্রায় ১ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীদের হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ ‘নাশকতামূলক কর্মকান্ডের’ অভিযোগ করা হয়েছে। তেহরানের প্রধান কৌঁসুলি এবং বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি ইজেই এ সংখ্যা প্রকাশ করেছেন। বিবিসি জানায়, আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেড় মাস ধরে তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন, এ সংখ্যা ১৪ হাজার।তবে এ আন্দোলন শুধু ইরানেই থেমে থাকছে না, বিশ্বের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ চলছে। সোমবার ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি ইজেই বলেন, শুধু তেহরানেই ১ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে।