মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পশ্চিমা অস্ত্রকে পাত্তা দিচ্ছে না রাশিয়া

ইউক্রেনে সর্বাধুনিক ট্যাংক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ব্রিটেন। শিগগিরই এ ধরনের ১৪টি ট্যাংক পাঠানো হবে। এই ঘোষণার পর গতকাল রাশিয়া পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছে, এসব ট্যাংকও পুড়বে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তারা রুশবিরোধী লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইউক্রেনকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই ট্যাংকগুলো পুড়ছে এবং বাকিগুলোর মতো পুড়বে। পেসকভ আরও বলেছেন, ব্রিটেন ও পোল্যান্ডের পাঠানো নতুন অস্ত্র রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি পাল্টাতে পারবে না।

যুক্তরাজ্যের এই ট্যাংকগুলোর নাম চ্যালেঞ্জার টু। ট্যাকগুলো সম্পর্কে শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলছেন, তাদের ট্যাংক রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ছাড়া ব্রিটেনের তৈরি আরও ৩০টি বড় আকারের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এএস৯০ পাঠানো হবে।

বাখমুতের পতনও কি আসন্ন : যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিগত ছয় মাসের মধ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে পূর্ব ইউক্রেনের লবণখনির শহর হিসেবে পরিচিত সোলেদারের দখল। দুই দিন আগে পুরো শহরই নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে মস্কো। বিমান, গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ রুশ বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সফল হয়েছে। এরপর রাশিয়া দাবি করেছে, এখন তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের যুদ্ধে কৌশলগত গুরুত্বের শহর বাখমুতও প্রায় দখল করে নিয়েছে। যোগাযোগ হাব হওয়ায় কৌশলগত সামরিক অবস্থানের পাশাপাশি এর নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূণ। ‘তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক মর্যাদার বিষয়ে পরিণত হয়েছে বাখমুত। রাশিয়া এ শহর দখলে নিতে পারলে, গত গ্রীষ্মের পর ইউক্রেন যুদ্ধে একটি বড় বিজয় হিসেবে একে দেখাতে পারবে। অন্যদিকে বাখমুতকে প্রতিরোধের দুর্গ হিসেবে তুলে ধরেছেন ইউক্রেনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব’।

পশ্চিমা সমর বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে তারা দাবি করছে, যুদ্ধের সার্বিক গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব নেই তেমন। তবু প্রতীকী রাজনৈতিক মর্যাদার কারণেই উভয় পক্ষই এর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা সিএনএ-এর রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর ওপর বিশেষজ্ঞ মাইকেল কফম্যান বলেন, ‘আক্রমণ অভিযানের জন্য ইউক্রেনীয়দের নতুন সেনা ইউনিট দরকার। এসব ইউনিটকে অস্ত্রসজ্জিত ও প্রশিক্ষিত করার কাজও শুরু হয়েছে। তাই প্রথমে বাখমুতের যুদ্ধ ইউক্রেনের জন্য সুবিধাজনক হলেও এখন আর তা নয়। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বাখমুতের যুদ্ধে শক্তিক্ষয়, চলতি শীত বা আগামী বসন্তের মৌসুমে ইউক্রেনের সার্বিক লড়াই করার শক্তি কতটা ব্যাহত করবে তা নিয়ে।’

সর্বশেষ খবর