২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:২৯

কোরআনে ঈমানের আহবান

মুফতি আতাউর রহমান

কোরআনে ঈমানের আহবান

কোরআনের বেশির ভাগ আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও তাঁর একনিষ্ঠ ইবাদত বিষয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। কেননা বেশির ভাগ আয়াতে ঈমান ও ইসলামের মূলনীতি, অদৃশ্য জগৎ ও ভাগ্য, কল্যাণ ও অকল্যাণ, পরকাল, জান্নাত ও তার পুরস্কার, জাহান্নাম ও তার শাস্তি সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়েছে। আর এগুলোই ঈমানের মৌলিক বিষয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে কোরআনের যেসব আদেশ এসেছে এবং নবী করিম (সা.)-কে যা করতে বলা হয়েছে তা হলো আল্লাহর মাহাত্ম্য ও বড়ত্ব বর্ণনা করা, মানুষকে শিরকের ব্যাপারে সতর্ক করা, পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্রতা অর্জন, পৌত্তলিকতা পরিহার ও দ্বিনের পথে অবিচল থাকা। 

যেমন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বস্ত্রাচ্ছাদিত, ওঠো, আর সতর্ক কোরো এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো। তোমার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখো। পৌত্তলিকতা পরিহার করে চলো। বেশি প্রতিদানের আশায় দান কোরো না এবং তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারণ করো। ’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ১-৭)
কোনো কোনো কোরআনের ব্যাখ্যাকারী বলেন, পবিত্র কোরআনের আয়াতগুলোর এক-তৃতীয়াংশ বিধান, এক-তৃতীয়াংশ সংবাদ, এক-তৃতীয়াংশ ঈমান বিষয়ক। আবার বিধান ও ঘটনাবলিসংক্রান্ত আয়াতে ঈমান ও বিশ্বাসসংক্রান্ত নির্দেশনাও আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়তি জীবনের ২৩ বছর। এর মধ্যে তিনি ১৩ বছর মক্কায় অবস্থান করেন এবং সেখানে মানুষকে ঈমান গ্রহণ ও শিরক বর্জন তথা ঈমানের আহ্বান জানিয়েছেন। আর মদিনার জীবনের ১০ বছর তিনি বিভিন্ন বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

সর্বশেষ খবর