আজ ভোটগণনা শুরু হবে ভবানীপুরে। মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে মমতা ব্যানার্জিকে এই আসনে জিততেই হবে। এই উপনির্বাচনে মমতার জয় নিয়ে অবশ্য কোনও সংশয় নেই তৃণমূল শিবিরের। চিন্তা শুধু ব্যবধানের অঙ্ক নিয়ে।
উপনির্বাচনী প্রচারপর্বে মমতা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়— সকলের বক্তব্যেই ফিরে ফিরে এসেছে এই ব্যবধানের প্রসঙ্গ। উপনির্বাচনে কম মানুষ ভোট দিতে আসেন, এটা জেনেই তৃণমূল এ বার জোর দিয়েছিল ‘ভোট দিতে আসুন’ ডাকে। বৃহস্পতিবার ভোটদানের ভালো হার সে দিক থেকে খানিকটা আশ্বস্ত করেছে রাজ্যের শাসকদলকে।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের সামান্য বেশি। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮,৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।
এপ্রিলের নির্বাচনের তুলনায় সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে কিছুটা কম ভোট পড়লেও ভবানীপুরে এর আগের উপনির্বাচনের তুলনায় কিন্তু অনেকটা বেশি ভোট পড়েছে এ বার। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। তাতে ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।
ভবানীপুরে এবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছিল আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। ঘটনাচক্রে, তিনিও পেশায় আইনজীবী।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ