১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:২০

দোকানে ভাজলেন চপ, নিজে খেলেন অপরকে খাওয়ালেন মমতা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

দোকানে ভাজলেন চপ, নিজে খেলেন অপরকে খাওয়ালেন মমতা

সংগৃহীত ছবি

ফের নতুন ভূমিকায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবার তিনি চপ ভাজলেন, নিজে খেলেন ও অপরকে খাওয়ালেন। 

মঙ্গলবার বীর সংগ্রামী শহীদ বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্যটির ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ীতে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা। সেই সভা শেষে সন্ধ্যায় তিনি যখন ফিরে আসছিলেন তখনই নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। ঝাড়গ্রামের মাগুড়া পেট্রোল পাম্পের কাছে রাস্তার উপরেই একটি চা দোকানে ঢুকে যান মমতা।

দোকানদারকে প্রশ্ন করেন তিনি কি করেন, দোকানদার উত্তর দেন চা ও চপ বিক্রি করেন। এর পরই দোকানদারকে বলেন, ‌‘তুমি সরে যাও। আমি চপ ভাজবো।’ এরপর তৈরি করা চপ তেলের কড়াইতে ছাড়েন মমতা। বেশ কিছুক্ষণ তা নাড়তে শুরু করেন। একসময় চপ ভাজা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে নিয়ে তা সকলের মধ্যে বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে। পরে কাগজে করেও তা বিতরণ করেন। আর এভাবেই জনসংযোগ করতে দেখা যায় মমতা ব্যানার্জিকে। 

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে চা দোকানে চপ দিতে দেখে ভিড় জমে যায় উৎসাহী মানুষের। প্রত্যেকেই হাত বাড়িয়ে মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে চপ নিতে উৎসুক হয়ে ওঠেন। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান চপ নেয়া কেউ বাকি রয়েছে কিনা! 
তবে কেবল চপই নয়, ওই দোকানের সামনে উপস্থিত ছোট ছোট বাচ্চাদের সকলের হাতে চকোলোটও তুলে দেন মমতা। 

মাগুরায় ঢোকার আগে তার গাড়িবহর যখন ফিরে আসছিল, তখন ঝাড়গ্রামের মুচিডাঙ্গা গ্রামের রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখে হঠাৎ করেই গাড়ি থামিয়ে দেন তিনি। এরপর তাদের সঙ্গে মিশে যান মুখ্যমন্ত্রী। আর তাকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। সব শুনে সেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি তার সাথে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর গ্রামেরই একটি বাড়িতে প্রবেশ করেন মমতা, সেখানে এক মহিলার কোল থেকে একটি বাচ্চাকে নিজের কোলে তুলে নিয়ে আদর করতেও দেখা যায় মমতাকে। 
 
আসলে বছর ঘুরলেই সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সব দল। বিশেষ করে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাহ্যিক রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কারাগার প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অখিল গিরির মন্তব্য ও তার প্রেক্ষিতে আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভ, প্রতিবাদকে প্রশমিত করতে একদিকে যেমন তাদের পাশে পেতে চাইছে তৃণমূল, তেমনি এই ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপিও। 

মমতা যখন তার নিজের মত করে জনসংযোগ সারছেন, ঠিক তখনই অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া অঞ্চলের ঠাকুরথান গ্রামে আদিবাসী পরিবারের ঘরে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন দুপুরে ঠাকুরথান গ্রামের বাসিন্দা শত্রুগ্ন মুদির বাড়িতে ভাত, ডাল, মাছ দিয়ে আহার সারেন। খাওয়া সেরে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন, বেশ কিছুক্ষণ সময় আড্ডাও দেন তাদের সাথে, শোনেন তাদের সমস্যার কথা। 

অন্যদিকে বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে বাঁকুড়ায় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির আরেক নেতা এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর