সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও পরিবহন সংকট

অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও পরিবহন সংকট

চট্টগ্রাম নগর ও ১৪ উপজেলায় যত্রতত্র ভেজাল ওষুধ এবং ভেজাল ওষুধ তৈরির কারখানার অস্তিত্ব বিদ্যমান। একই সঙ্গে ওষুধ নিয়ে নানা অনিয়মে পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও পর্যাপ্ত পরিবহন সংকটে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না। ফলে নগরসহ তৃণমূলে ভরে উঠছে ভেজাল ওষুধ। ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের নিজস্ব কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নেই। ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনায় ভরসা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতি মাসে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনার তালিকায় ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা থাকলেও নানা কারণে নির্ধারিত ম্যাজিস্ট্রেট আসতে পারেন না। ম্যাজিস্ট্রেট না এলে অভিযানও হয় না। পক্ষান্তরে অভিযানের জন্য আগে থেকেই নির্ধারিতসংখ্যক পুলিশ বরাদ্দ থাকলেও তাও মেলে না। তা ছাড়া ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের নিজস্ব কোনো পরিবহন নেই। অভিযানে ভরসা একটি মোটরসাইকেল। ফলে ভেজাল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির কারখানায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক অভিযান হয় না। ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কে এম মোহসেনিন মাহবুব বলেন, ‘প্রতি মাসে নিয়ম মতে অভিযানের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ থাকে। কিন্তু নানা কারণে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া না গেলে অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না। একই সমস্যা পুলিশ পাওয়ার ক্ষেত্রেও। তা ছাড়া অভিযানের নিজস্ব পরিবহন বলতে আছে একটি মোটরসাইকেল। এটি নিয়েই আমি উপজেলাগুলো পরিদর্শন করি।’ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাজিব উল আহসান বলেন, মাসের আগেই কোন কোন বিভাগের ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হবে তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকা মতে অভিযান পরিচালিত হয়। নির্ধারিত ম্যাজিস্ট্রেট যদি ওই দিন অনুপস্থিত থাকেন তাহলে অন্য একজনকে দেওয়া হয়। কারণ সব সময় ড্রাগ ও ফুড কোর্টের অভিযানগুলো অগ্রাধিকার তালিকায় থাকে। জানা যায়, ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে প্রায় এক মাস ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া রমজান মাসে ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান, বাজার মনিটরিংসহ নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন অভিযান পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে মাসের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা যায় না।
জানা যায়, অধিকাংশ সময় উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। কিন্তু অভিযোগ আছে, উপজেলা পর্যায়ে বাজারকেন্দ্রিক ওষুধ ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তেমন বড় কোনো জরিমানা করতে পারেন না। এর সঙ্গে আবার জড়িয়ে থাকে স্থানীয় রাজনীতি।

সর্বশেষ খবর