চট্টগ্রাম নগর ও ১৪ উপজেলায় যত্রতত্র ভেজাল ওষুধ এবং ভেজাল ওষুধ তৈরির কারখানার অস্তিত্ব বিদ্যমান। একই সঙ্গে ওষুধ নিয়ে নানা অনিয়মে পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও পর্যাপ্ত পরিবহন সংকটে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না। ফলে নগরসহ তৃণমূলে ভরে উঠছে ভেজাল ওষুধ। ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের নিজস্ব কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নেই। ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনায় ভরসা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতি মাসে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনার তালিকায় ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা থাকলেও নানা কারণে নির্ধারিত ম্যাজিস্ট্রেট আসতে পারেন না। ম্যাজিস্ট্রেট না এলে অভিযানও হয় না। পক্ষান্তরে অভিযানের জন্য আগে থেকেই নির্ধারিতসংখ্যক পুলিশ বরাদ্দ থাকলেও তাও মেলে না। তা ছাড়া ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের নিজস্ব কোনো পরিবহন নেই। অভিযানে ভরসা একটি মোটরসাইকেল। ফলে ভেজাল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির কারখানায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক অভিযান হয় না। ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কে এম মোহসেনিন মাহবুব বলেন, ‘প্রতি মাসে নিয়ম মতে অভিযানের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ থাকে। কিন্তু নানা কারণে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া না গেলে অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না। একই সমস্যা পুলিশ পাওয়ার ক্ষেত্রেও। তা ছাড়া অভিযানের নিজস্ব পরিবহন বলতে আছে একটি মোটরসাইকেল। এটি নিয়েই আমি উপজেলাগুলো পরিদর্শন করি।’ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাজিব উল আহসান বলেন, মাসের আগেই কোন কোন বিভাগের ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হবে তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকা মতে অভিযান পরিচালিত হয়। নির্ধারিত ম্যাজিস্ট্রেট যদি ওই দিন অনুপস্থিত থাকেন তাহলে অন্য একজনকে দেওয়া হয়। কারণ সব সময় ড্রাগ ও ফুড কোর্টের অভিযানগুলো অগ্রাধিকার তালিকায় থাকে। জানা যায়, ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে প্রায় এক মাস ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া রমজান মাসে ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান, বাজার মনিটরিংসহ নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন অভিযান পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে মাসের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা যায় না।
জানা যায়, অধিকাংশ সময় উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। কিন্তু অভিযোগ আছে, উপজেলা পর্যায়ে বাজারকেন্দ্রিক ওষুধ ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তেমন বড় কোনো জরিমানা করতে পারেন না। এর সঙ্গে আবার জড়িয়ে থাকে স্থানীয় রাজনীতি।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও পরিবহন সংকট
রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর