বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বগুড়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন

বগুড়ার মাঠে মাঠে সোনা রঙের ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে। মাঠের নতুন ধান ঘরে তুলতে চাষিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু না হলেও আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। নতুন ধান ঘরে ওঠার পর কৃষকের ঘরে ঘরে আনন্দের বাতাস বইছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও টার্গেটের বেশি জমিতে আমন চাষ করেছেন চাষিরা। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মতে, সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এতে চাল আকারে ফলন ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদন ৫ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন। কৃষি বিভাগ জানায়, অনুকূল আবহাওয়া, সময়মতো সার, বীজ ও পরিচর্যার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। জৈব সারের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন চাষ বেশি হয়েছে। এ কারণে চাষিরা এবার বাম্পার ফলন পেতে যাচ্ছেন। ভালো ফলনের সঙ্গে ভালো দাম পাবেন বলে চাষিরা আশাবাদী। আগাম জাতের আমন ধান ইতিমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আমন মৌসুমের ব্রি ধান-৬২ ও বিনা-৭ কৃষকরা চাষ করেন। ধান বিক্রি করে কৃষক ওই জমিতে আলু ও সরিষা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমন ধানের মধ্যে ব্রি ধান-৬২ বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ  ও বিনা-৭ বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ১৬ মণ হারে ফলন হয়েছে। হাটবাজারে নতুন ধান তেমনভাবে বেচাকেনা শুরু না হলেও কিছু কিছু ধান উঠতে শুরু করেছে। শেরপুর উপজেলার নাহিদ হাসান জানান, আমন চাষিরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। যারা আগামভাবে চাষবাস করেছেন তারাই সবার আগে ধান কাটতে শুরু করেছেন। আমন ধান কাটার পর চাষিরা আলু ও সরিষা চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়বেন। কাহালু উপজেলার আবদুল হান্নান জানান, এবারও বাম্পার ফলন হবে। ধানের রং যেমন হয়েছে তেমনি দানা ভালো হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কড়িতলা গ্রামের মো. সোহেল জানান, ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। গত বছর ধানের দাম কম ছিল। এবার বাজার চাঙ্গা হলে আমন চাষিরা লাভবান হবে। নন্দীগ্রাম উপজেলার আমন চাষি আলী আকবর জানান, ভালো ফলন পাওয়া গেছে। উপজেলায় চাষিরা আগাম জাতের আমন ধান চাষ করে থাকেন। এসব ধান আগামভাবেই কাটা হয়। প্রতি বিঘায় ১৪ মণ ধান পেয়েছেন। আবাদে খরচ কম হওয়ায় কিছুটা লাভের আশা করছেন তিনি। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকার জানান, এবার ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। জেলায় চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। বাড়তি চাষসহ মোট ফলন পাওয়া যাবে প্রায় ৫ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন।

সর্বশেষ খবর