প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের প্রতিবেদনেই দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বেহালদশার কথা বলা হয়েছে। প্রায় ৩৭ শতাংশের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে নাজুক অবস্থায়। এগুলো ব্যবহারের অনুপযুক্ত। ২০১৬ সালের তথ্য নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার ‘বার্ষিক সেক্টর পারফরমেন্স রিপোর্ট -২০১৭’-এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ৬৪ হাজার ১১২টি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে নতুন জাতীয়করণ করা স্কুল রয়েছে ২৫ হাজার ৭১৬টি। মোট প্রাথমিক সরকারি স্কুলগুলোর ৩৭ শতাংশের বেশি স্কুলের ভবন ব্যবহারের অনুপযুক্ত। এসব স্কুলগুলো পাকা ও সেমি পাকা উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার এ প্রতিবেদন বলছে, ২০১৩ সালের পূর্বের সরকারি প্রাথমিকের পাকা স্কুলগুলোর অবকাঠামো মাত্র ৪৭ শতাংশ ভালো পর্যায়ে রয়েছে। মাঝামাঝি (মডারেট) পর্যায়ে রয়েছে ২৩ শতাংশ স্কুল। আর খারাপ পর্যায়ে রয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। তবে ২৩ শতাংশ স্কুলের অবস্থা একেবারেই নাজুক, ব্যবহার অযোগ্য। সেমিপাকা স্কুলগুলোর মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ ভবন ভালো মানে রয়েছে। প্রায় ১৮ শতাংশ স্কুলের অবকাঠামো মাঝামাঝি। খারাপ পর্যায়ে রয়েছে ২১ শতাংশ স্কুলের ভবনগুলোর অবস্থা। আর সেমিপাকা ৫৪ শতাংশ স্কুল একেবারেই অব্যবহারযোগ্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন জাতীয়করণ করা প্রাথমিক পাকা করা স্কুলগুলোর মধ্যে ৩২ শতাংশ স্কুলের ভবনগুলো ভালো পর্যায়ে রয়েছে। ২৫ শতাংশ স্কুল মোটামুটি ভালো পর্যায়ে রয়েছে। নতুন জাতীয়করণ করা পাকা স্কুলগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ স্কুল একেবারেই ব্যবহারের অনুপযুক্ত। এ পর্যায়ের সরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে আধাপাকা স্কুলের ২১ শতাংশ রুমগুলো খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। ৪২ শতাংশ স্কুল একেবারেই ব্যবহারের অনুপযুক্ত। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক সময় স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাঠদানও বন্ধ থাকে। বলা হয়েছে, নদীভাঙনসহ বিভিন্ন কারণে বিদ্যালয় ভবন ধস, পরিত্যক্ত কিংবা বিলীন হয়ে যাওয়ায় কিছু বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, কিছু সরকারি স্কুলে ২০ জনেরও কম ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। আর ৫০ জনের কম ছাত্র রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চারশর মতো। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৬ হাজার ৫৪৬টি বিদ্যালয় চলছে মাত্র একটি কক্ষ দিয়ে। দুই হাজার ৮০৯টি বিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে মাত্র দুটি শ্রেণিকক্ষ দিয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমন অবস্থা লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। স্কুলগুলোতে রয়েছে শিক্ষক সংকটও। জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশি শিক্ষক সংকটে রয়েছে। ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে। দুজন শিক্ষক রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭২১টি। ৭ হাজার ৭৬৪ স্কুলে শিক্ষক রয়েছে তিনজন। প্রতিবেদন বলছে, কমপক্ষে চারজন শিক্ষক না হলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত পাঠদান করা সম্ভব নয়। প্রাথমিক শিক্ষায় প্রতি ৪০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একটি শ্রেণিকক্ষ রাখার নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ নীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে মাত্র ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ বিদ্যালয়ে। সে হিসাবে দেশের ৬৫ শতাংশের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের আয়তনও আদর্শ মানের নয়। স্বীকৃত মানদণ্ড অনুযায়ী, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দৈর্ঘ্য হওয়ার কথা ন্যূনতম ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১৭ ফুট ৪ ইঞ্চি। প্রতিবেদন বলছে, দেশের ২৬ শতাংশ বিদ্যালয়েই এ আয়তনের শ্রেণিকক্ষ নেই।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ