কদিন আগের ঘটনা। প্রতারণার শিকার হয়েছেন মিরপুরের বাসিন্দা কবির হোসেন। পেশায় ব্যবসায়ী কবিরের মোবাইলে ওইদিন সন্ধ্যায় তার এক গ্রাহক রংপুর থেকে ২৫ হাজার টাকা পাঠান। এর কিছুক্ষণ পর তার মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ভুলে কিছু টাকা কবিরের মোবাইলে চলে গেছে জানিয়ে ওই ব্যক্তি টাকাগুলো ফেরত চান কবিরের কাছে। কিন্তু কবির কোনো এসএমএস না পাওয়ার কথা জানালে ওই ব্যক্তি বলেন, নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে হয়তো এসএমএস যায়নি, ব্যালেন্স চেক করলেই আপনি টাকা দেখতে পাবেন। এরপর কবির তার ব্যালেন্স চেক করে অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজার টাকা দেখতে পান এবং কিছুক্ষণ পর এসএমএসও পান। এরপর ওই ব্যক্তির কথা মতো তাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা পাঠানোর পর কবির দেখতে পান তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা কাটার পরিবর্তে কেটে নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। যার ফলশ্রুতিতে তার অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে ১৪ হাজারের কিছু বেশি। এরপর কবিরকে একটি নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে বিকাশের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি (কবির) যদি আরও ১০ হাজার টাকা ওই নম্বরে পাঠিয়ে দেন তবে পুরো টাকাটাই (৩৫ হাজার) তার অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। কিন্তু কবির আর সেটা না করে পুলিশের আশ্রয় নেন। ওই রাতেই থানায় তিনি অভিযোগ জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি চেষ্টা করেছিলেন বিকাশের সহায়তা নেওয়ার। কিন্তু পরদিন বিকাশের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে গেলে সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা তাকে কোনো ধরনের সহায়তা না করে পুলিশে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে আরও কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানান। তাদের মতে, বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গেলে তারা সমস্যার সমাধানে সহায়তা করেন না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ওপর ‘অজ্ঞতা’র কালিমা লেপন করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মোবাইল ফোনের সাহায্যে টাকা আদান-প্রদানের মাধ্যম ‘বিকাশ’-এ ছড়িয়ে পড়েছে নানা প্রতারণার জাল। সারা দেশে প্রতিনিয়ত অসংখ্য গ্রাহক নানা প্রতারণার শিকার হলেও প্রতিকারে এগিয়ে আসছে না সংশ্লিষ্ট কেউই। প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের ‘অজ্ঞতা’র কালিমা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব কৌশলে এড়িয়ে যায় বিকাশ কর্তৃপক্ষ। রোজ রোজ প্রতারণার ডোজ দেওয়া হলেও প্রতিকার পান না ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘মোবাইলে বিকাশের নাম ব্যবহার করে মাস্কিং এসএমএস যেটাকে বলা হয় সেটা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু মূল অ্যাকাউন্টে টাকা দেখাতে হলে তাতে বিকাশের কোনো কর্মকর্তাকে অবশ্যই জড়িত থাকতে হবে। বিকাশের সিস্টেমে এক্সেস ছাড়া কোনোভাবেই এটা সম্ভব নয়।’ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, প্রতারণামূলক যত ফোন আসে সবগুলোতে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতারকরা তাদের প্রতারণার জন্য যে কোনো অপারেটরকেই বেছে নিতে পারে। এ জন্য দোষটা কখনই অপারেটরের নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হবে প্রতারক চক্রটিকে খুঁজে বের করা এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।’ বিকাশের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সম্পর্কে তারা বলেন, ‘বিকাশের কোনো কর্মকর্তা এ ধরনের প্রতারণায় জড়িত থাকলে সেটা বিকাশ থেকে জানা সম্ভব। কিন্তু এখনো কোনো কর্মকর্তার প্রতারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
শিরোনাম
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
- লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
- আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
- ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন
- দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
- তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
- রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
- নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
- ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
- সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
- তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
- ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
প্রতারণার ডোজ রোজ রোজ
মির্জা মেহেদী তমাল
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর