রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার ইনসান আলীর ছেলে সুমন হোসেন (২৬)। পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন। জেল খেটে আবার হাসপাতালের গেটে। রোগী ধরে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়াই তার কাজ। শুধু সুমন নন, নগরীর কয়েরদাড়া বিলপাড়া এলাকার রাজিব (২৫), চ-িপুর এলাকার শিশির (২৪) ও হরিপুর এলাকার মাসুদ রানা (২৭), হাসপাতালে তারা রোগী ধরা দালাল হিসেবে পরিচিত। তাদের কাজ চিকিৎসকের কাছ থেকে রোগী ধরে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া। আর চিকিৎসকরাই তাদের এ কাজে নিয়োগ দিয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুরে পাওয়া গেছে এমনই সব চিত্র। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের বারান্দায় রোগী ও স্বজনদের ভিড় যতটা বেশি, তার চেয়ে বেশি দালাল আর ওষুধ কোম্পানির লোকজনের। নানা অজুহাতে চিকিৎসকরা রোগীদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন ক্লিনিকে। আর বাইরে অপেক্ষায় থাকা দালালরা তাদের ধরে নিয়ে যান ক্লিনিকগুলোয়। শুধু ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে দেওয়া নয়, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারও ঠিক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকের কাছ থেকে আসা এসব রোগী ধরতে বাইরে ওঁৎপেতে থাকে দালালরা। ফলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা দালালনির্ভর হয়ে পড়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অবকাঠামো, শয্যা ও ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানো হলেও বাড়েনি জনবল। এ সংকটের কারণে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। এজন্য সেবার মানও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা জানান, আগের তুলনায় রোগীর হয়রানি অনেক কমেছে। সেবার মানও বেড়েছে। ধীরে ধীরে তারা সংকট কাটিয়ে চিকিৎসার মান বাড়াতে কাজ করছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৫৫০ শয্যা থেকে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বেড়ে বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ার্ড সংখ্যা হয়েছে ৫৭টি। শয্যা ও ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানো হলেও সেই অনুপাতে বাড়ানো হয়নি জনবল। ৫৫০ শয্যার অনুমোদিত জনবল দিয়েই চলছে বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে আছে শূন্যপদও। বর্তমানে ওই হাসপাতালে সরকার অনুমোদিত ১৭৬টি পদ শূন্য আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার (চিকিৎসক) পদ আছে ২৩৩টি। এর মধ্যে ৩০টি পদ শূন্য আছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ৩৬০টি পদের মধ্যে শূন্য আছে তিনটি, তৃতীয় শ্রেণীর ১১৮টি পদের মধ্যে ১৭টি ও চতুর্থ শ্রেণীর ৪৩৩টি পদের মধ্যে শূন্য আছে ১২৬টি। এসব পদ ছাড়াও দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে কর্মরত আছে ১১১ জন শ্রমিক। এর মধ্যে দুই দফায় এমএলএসএসসহ বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হলেও বাড়ানো হয়নি অন্যান্য পদের সংখ্যা। তারপরও ওয়ার্ড বাড়ানোর পর যে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারমধ্যে বেশির ভাগই বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। ফলে আগের ৫৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি।
শিরোনাম
- রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
- ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
- ‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
- ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
- বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
- ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
- দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
- এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
- গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
- ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
- নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
- সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
- র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে তানজিদ
- বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য ভোট চাইলেন ভিপি সাইফুল
- খালেদা জিয়া আমাদের মনোবল-সাহস: এ্যানি
- স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
- বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা
রামেক হাসপাতালে দালালই ভরসা!
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর