দেশীয় জাতের আসিল মোরগ-মুরগি দিন দিন কমে গিয়ে আজ বিলুপ্তির পথে। এর বাজার মূল্যও বেশি। হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) এ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। যাতে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করে এ মুরগিটির বংশ বিস্তার বাড়ানো যায়। এই মুরগির জন্য একটি ‘জিন ব্যাংক’ তৈরি করা হবে। আসিল মুরগি অনেক শক্তিশালী ও কৌশলী। বিশেষ করে লড়াইয়ের মাঠে। এ জাতের মোরগ দেখতে অনেকটা মুরগির মতোই। এরা বেশ বড় হয়। এ জাতের মোরগ ভালো লড়াই করতে পারে। cock fight -এর জন্য এ মোরগের নাম বিশ্বজোড়া। অনেকে শখ করে এদের পালন করে থাকে। লড়াই করে এমন মোরগের মূল্য এক লাখ টাকাও হতে পারে। এদের মাংস খুব সুস্বাদু। এ মোরগ ও মুরগির ওজন সাড়ে ৩ এবং সাড়ে ৪ কেজি হয়। হাবিপ্রবিতে গবেষণার জন্য এই জাতের মোরগ-মুরগি ১০ মাস আগে আনা হয়েছে। বর্তমানে এখানে বড় ৩৮টি মোরগ-মুরগি রয়েছে এবং ৭০টি বাচ্চা রয়েছে। হাবিপ্রবিতে গবেষণারত পিএইডি ফেলো ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, আসিল অর্থাৎ আসল বা খাঁটি। অনেকে এটাকে আঁচিলও বলে। এটি বাংলাদেশের একটি বিশুদ্ধ জাতের মুরগি। ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও সিলেট জেলায় এ মোরগ-মুরগি পাওয়া যায়। এদের দেহের গঠন বলিষ্ঠ ও দৃঢ়, গলা ও পা লম্বা। এদের মাথা বেশ চওড়া এবং মাথায় মটর ঝুঁটি থাকে। দেহে পালক খুব কম থাকে ও রং লাল হয় বেশি, তবে অন্য রংও হয়। ঠোঁট বেশ বড় ও মজবুত। এদের বুকের প্রস্থ বেশি এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি। তিনি জানান, এ জাতের মোরগ-মুরগি কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংরক্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আসিল জাতের মোরগ ও মুরগি দেশে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে এ গবেষণা। গবেষণার আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এ মুরগির জন্য একটি ‘জিন ব্যাংক’ তৈরি করা হবে। যাতে এ মুরগি বিলুপ্ত হয়েও গেলে একশ বছর পরেও যেন কমপক্ষে ৫০ ভাগ বৈশিষ্ট্যের এ মুরগির জাতটি পাওয়া যায়। হাবিপ্রবির গবেষক ও জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল গাফফার মিয়া জানান, এখানে বড় ৩৮টি মোরগ-মুরগি রয়েছে এবং ৭০টি বাচ্চা রয়েছে। এগুলোর বংশবিস্তার করে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতেই এখানে গবেষণা করা হচ্ছে।