শিরোনাম
শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য পরামর্শ

করলার পুষ্টিগুণ

প্রতিদিন করলার রস খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। করলায় রয়েছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, জিঙ্ক, ফসফরাস। এসব উপাদান অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীর ডায়েটে করলা রাখুন। করলায় থাকা পলিপেপটাইড পি ব্লাড ও ইউরিন সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করলার রস ও করলা সিদ্ধ খেতে পারেন। নানা রকমের ব্লাড ডিজঅর্ডার যেমন স্ক্যাবিজ, রিং ওয়র্মের সমস্যায় করলা উপকারী। করলা রক্ত শোধনে সাহায্য করে। এ ছাড়া স্কিন ডিজিজ ও ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে। করলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রণ রয়েছে। আয়রণ হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। পালংশাকের দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম ও কলার দ্বিগুণ পরিমাণ পটাশিয়াম করলায় রয়েছে। দাঁত ও হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়াম জরুরি। ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ও হার্ট ভালো রাখার জন্য পটাশিয়াম প্রয়োজন। করলায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্য একান্ত জরুরি। শুধু করলা নয়, করলা পাতার রসেও আছে অনেক উপকার। এটি নানা ধরনের ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়। এনার্জি বাড়াতেও করলা পাতার রস সাহায্য করে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থেকে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে করলা পাতার রস দারুণ কাজে দেয়। ব্লাড ডিজঅর্ডার সমস্যায় লেবুর রস ও করলা পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। করলা পাতার রসে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। করলা অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, ফেরেনজাইটিসের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমে সোরিয়াসিসের সমস্যা, ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর