বরিশালে এখন পর্যন্ত কোনো ক্যাসিনোর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে অভিজাত দুটিসহ কয়েকটি ক্লাবে নিয়মিত বসে জুয়ার আসর। এসব ক্লাবের ছত্রচ্ছায়ায় মাদক বেচাকেনার অভিযোগও রয়েছে। অভিজাত দুটি ক্লাবের দায়িত্বে আছেন প্রভাবশালীরা। অন্য ক্লাবগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা। বরিশাল নগরের সদর রোডের দক্ষিণে অবস্থিত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। স্পোর্টিং ক্লাব নাম হলেও খেলাধুলার লেশমাত্র নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ক্রিকেট-ফুটবলসহ বরিশালে কোনো পর্যায়ের কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোহামেডানের অংশগ্রহণ দেখা যায়নি। তবে নিয়মিত চলে জুয়ার আসর। মোহামেডান ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াতকারী এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, ‘ক্লাবের দুটির কক্ষে তাস দিয়ে গেম (রামি) খেলা হয়। একটি কক্ষে সিনিয়ররা এবং অন্য কক্ষে বসেন তুলনামূলক জুনিয়ররা। আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য সীমিত অর্থ দিয়ে খেলা হয় রামি। ওই ক্লাবে জুনিয়র কক্ষে মাদক সহজলভ্য। বছর দুয়েক আগে পুলিশ ফেনসিডিলসহ মনু নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল মোহামেডান ক্লাব থেকে। বর্তমানে সেখানে ইয়াবাও হাতের নাগালে।’ নগরের অভিজাত ‘বরিশাল ক্লাব লিমিটেডে’ শুধু সদস্যরা সন্ধ্যার পর গিয়ে অলস সময় কাটান। তারা তাস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলেন। তবে তা ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। নগরের নাজিরের পোল এলাকায় ‘নবজাগরণ ক্লাব’ ওই এলাকার অপরাধীদের আশ্রয়স্থল বলে পুরনো অভিযোগ রয়েছে। অবাধে জুয়া খেলা ছাড়াও ক্লাবের ছত্রচ্ছায়ায় সেখানে সব ধরনের মাদক পাওয়া যায় বলেও জনশ্রুতি আছে। ক্লাবটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা একজন জনপ্রতিনিধি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে সেখান থেকে নিয়মিত বখরা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে নবজাগরণ ক্লাবে কখনই হানা দেওয়ার নজির নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বরিশালের অন্যতম বৃহৎ জুয়া খেলার আসর বসে নগরের জেলখানা মোড়ে ‘ফ্রেন্ডস সোসাইটি’তে। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত তাস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার অভিযোগ রয়েছে। নগরের নতুন বাজার টেম্পোস্ট্যান্ডে ‘জাগরণী সংঘে’ও (নতুন নাম বরিশাল সিটি ক্লাব) অর্থ দিয়ে তাস (জুয়া) খেলার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে কোনো জুনিয়রের প্রবেশাধিকার নেই। সিনিয়ররা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অর্থ দিয়ে তাস খেলেন। ওই ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াতকারী একজন বলেন, ‘যাদের একটু বয়স হয়েছে তারা চায়ের দোকানে গিয়ে আড্ডা দিতে পারেন না। তাই তারা সন্ধ্যার পর ওই ক্লাবে গিয়ে ৫০-১০০ টাকার বাজি ধরে কিংবা বিনিয়োগ করে তাসের বিভিন্ন খেলা খেলে সময় কাটান।’ এ ছাড়া নগরের আলেকান্দার সিকদারপাড়া, সিঅ্যান্ডবি পোল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। র্যাব-৮-এর কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম জানান, ‘তারাও বরিশালে বিভিন্ন স্থানে জুয়ার তথ্য সংগ্রহ করছেন। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওইসব আস্তানায় অভিযান চালাবে র্যাব।’
শিরোনাম
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
- ৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
- তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
- চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
- সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
- জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
- বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
- ৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
- অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
- জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
- মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
- অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
- মুন্সীগঞ্জে ৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ
- ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
- পাকিস্তানে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ৬
- কাক দিয়ে শহর পরিষ্কার? সুইডিশ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী?
- ফকির-বাউলদের ওপর জুলুম বন্ধের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার
বরিশালে অভিজাত ক্লাবে আসর
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর