আল নাহিয়ান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য ভারমুক্ত হলেন। গতকাল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেন। এর আগে তারা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত দুই নেতাকে ভারমুক্ত করার জন্য দলীয় সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী। ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত যুক্ত আছে। সেটা কেমন দেখায় না? ভার উঠিয়ে দিন। আপনার কাছে এই আহ্বান জানালাম।’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রস্তাব করেছেন ছাত্রলীগের দুজনের ভার উঠিয়ে দিতে। ভার উঠিয়ে দিলাম। আজ থেকে তাদের ওপর আর ভার নেই।
সামনে মুজিববর্ষ। ছাত্রলীগকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী করতালি দিয়ে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই দুই নেতা ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব পান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠায় সর্বশেষ কাউন্সিলে দায়িত্ব পাওয়া ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দিয়ে আল নাহিয়ান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এরপর পেরিয়ে গেছে তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সাদাসিধে জীবনাচরণ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নজর কেড়েছে। ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের চার নেতাও জয় এবং লেখককে পূর্ণ দায়িত্ব অর্পণের বিষয়ে ইতিবাচক ছিলেন বলে জানা গেছে।