বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তেজগাঁও নাবিস্কো মোড়ে কানিজ গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা এ অবরোধ করে। এতে মগবাজার থেকে তেজগাঁও এবং বনানীর কাকলী এলাকা পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা দেয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। আন্দোলনকারী এক শ্রমিক বলেন, সম্প্রতি ৮০ জন কর্মী ছাঁটাই করে কর্তৃপক্ষ। সে বিষয়ে সুরাহা না করেই গত তিন দিন ধরে গার্মেন্টের কোনো শ্রমিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভিতর থেকে গেট আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান সড়ক থেকে গার্মেন্ট কর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর তারা কারখানার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় ৫০০ শ্রমিক তেজগাঁও লিংক রোড ও মহাখালীর রোড অবরোধ করে রাখে। এতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বাধ্য হয়ে তারা বাস থেকে নেমে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান। গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই গার্মেন্টের শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছিলেন। ফলে কয়েকদিন ধরেই কারখানাটিতে অচলাবস্থা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ। ছুটি শেষে গতকাল গার্মেন্টটির ফটকে এসে তালা ঝুলতে দেখে শ্রমিকরা। একইসঙ্গে ৮০ জনকে বরখাস্তের একটি নোটিসও টানানো দেখে। এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা। কাউসার নামে এক শ্রমিক জানান, তিনি গত ৫ বছর ধরে ওই গার্মেন্টে কাজ করে আসছেন। কারখানাটিতে প্রায় ৩৭০০ কর্মী কাজ করে। প্রতিবছর তাদের বেতন বৃদ্ধি পেত। কিন্তু এ বছর তাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। বেতন বাড়ানোর দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করলে গার্মেন্ট বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। খোলার পর এসে দেখেন তাদের ৮০ জন সহকর্মীকে চাকরিচ্যুতির নোটিস টানানো হয়েছে। ওই নোটিসে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমই। বৈঠকে উভয়ের সমঝোতায় এবং শ্রম আইন অনুযায়ী ৮০ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শ্রম আইন অনুসারে প্রত্যেককে ১২০ দিনের বেতন দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন খান বলেন, শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করলে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তারা সেখান থেকে গার্মেন্টের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। তবে এতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তারা মালিকপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করেন।

সর্বশেষ খবর