বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

নিম্নবিত্তদের জন্য এনজিওর ঋণ চালু থাকবে

কিস্তি আদায়ে জোরজবরদস্তি নয়, সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল চালু

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

করোনাভাইরাসের সংকট দেখিয়ে ঋণ কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না কোনো এনজিও (বেসরকারি সংস্থা)। নীতিমালা মেনে স্বল্প আয়ের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ দিতে হবে। একই সঙ্গে আগে দেওয়া ঋণের কিস্তি আদায়ে আগামী জুন পর্যন্ত গ্রাহকদের ওপর জোরজবরদস্তি করা যাবে না। গতকাল এ বিষয়ে একটি নতুন সার্কুলার জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ৩০ জুন, ২০২০ পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি/ঋণকে বকেয়া/খেলাপি দেখানো যাবে না। অর্থাৎ এই সংকটময় সময়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী এনজিওগুলো কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সে ক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। এনজিওগুলোর নতুন ঋণ প্রদানেও কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়নি। এর আগে গত ২২ মার্চ ৬ মাসের (জানুয়ারি থেকে জুন) জন্য কিস্তি পরিশোধের বাধ্যকতা শিথিল করে একটি সার্কুলার জারি করেছিল এমআরএ। তবে ওই সার্কুলার জারির পরও অনেক এনজিও গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধে চাপ দিয়ে আসছিল। এনজিও প্রতিনিধিরা বলছিল, তাদের কাছে এখনো কিস্তি শিথিলের কোনো চিঠি আসেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ফারুক আহমেদ গতকাল ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন এনজিও এখনো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিস্তি নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

এ বিষয়ে এমআরএর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জ্জি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কিছু এনজিও ঋণের কিস্তি আদায়ে গ্রাহকদের বাধ্য করছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। অনেক এনজিও আবার ঋণ কার্যক্রমও বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট, এনজিওগুলোর ঋণ কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। করোনাভাইরাসের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ যে সংকটে পড়েছে, সেই সংকট মোকাবিলায় বরং তাদের মধ্যে নতুন ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এ বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে নতুন সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

মনিটরিং সেল : করোনাভাইরাসজনিত কারণে ক্ষুদ্রঋণদাতা, গ্রহীতা-গ্রাহকদের অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং সরকারের নির্দেশ সঠিকভাবে এনজিওগুলো পালন করছে কি-না সেটি নিশ্চিত করতে মনিটরিং সেল চালু করেছে এমআরএ। সংস্থাটির একজন পরিচালকের নেতৃত্বে এতে ৯ জন উপ-পরিচালক দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ঢাকায় ০১৮১৫৫০৩৮৭৫, ০১৭১৬৪২৭২১৭, চট্টগ্রামে ০১৯১২২৬৭২৭৩, রাজশাহীতে ০১৭১২০৮২০৫৭, বরিশালে ০১৭১১৪৬১৩০৩, ময়মনসিংহে ০১৭১০৮০৬৩০৬, রংপুর ০১৭১৬৫১৫২১৫, খুলনায় ০১৭১১৭০৯৪৫৮ এবং সিলেটে ০১৫৫২৪৪০৯২১ এই নম্বরে ঋণগ্রহীতারা অভিযোগ জানাতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর