বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা কমছে ইউরোপে উদ্বেগ এশিয়ায়

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কেও দীর্ঘ লকডাউন সোমবার থেকে শিথিল হতে শুরু করেছে। তবে করোনাভাইরাসের উৎস এশিয়ার চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে সরকার ও প্রশাসন এখন এক ধরনের মিশ্র পরিস্থিতির মুখে। তারা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। করোনায় বিশ্বজুড়ে দুই লাখ ৮৮ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুসারে, গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত সেখানে ৮২ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছেন। দ্বিতীয় দিনের মতো সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০০ জনের কম অর্থাৎ ২২৪ জন মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। শুরুতে ইউরোপে এক সময় ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল স্পেনে দিনে মৃত্যুর সংখ্যা কমে ১২৩ জনে নেমে এসেছে। সেখানে এক হাজার ৫৩৪ জন রোগী এখন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। ১০ মার্চ থেকে দেশটিতে প্রাদুর্ভাবটি ছড়িয়ে পড়ার পর আইসিইউতে এটাই সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগী থাকার রেকর্ড। ফ্রান্সে সাত দিন মৃত্যুর সংখ্যা কমার পর সোমবার পরিস্থিতি একই থাকে। ব্রিটেনে ৬৬৭ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত তিন হাজার ৪০৩ জন : যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি জানান, ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। মঙ্গলবার ৬৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ছিল ২৬৯ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬২৭ জন। এ মৃত্যুর পরিসংখ্যান হাসপাতাল ও হাসপাতালের বাইরের সংখ্যা যুক্ত করা হয়েছে। এদিকে ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড স্যোশাল কেয়ার জানিয়েছে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৪০৩ জন। বিবিসি জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ইংল্যান্ডে ৩৫০ জন, স্কটল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫০ জন ও ওয়েলসে ১৬ জন। আয়ারল্যান্ডে নতুন করে নয়জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। এ হিসাবে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৪২৫ জন।

সর্বশেষ খবর