শিরোনাম
শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ফেরি বন্ধে দুর্ভোগ, ঘোড়ার গাড়িতে পদ্মা পাড়ি

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

ফেরি বন্ধে দুর্ভোগ, ঘোড়ার গাড়িতে পদ্মা পাড়ি

বর্তমানে প্রমত্তা পদ্মা নদীর বেশির ভাগ অংশে ধু-ধু বালুচর। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম জৌকুরা-নাজিরগঞ্জ নৌপথ বর্ষা মৌসুমে তিনটি ফেরি দিয়ে যাত্রীবাহী বাস এবং হাজার হাজার যাত্রী পারাপার করে রাজবাড়ী সড়ক বিভাগ। বর্তমানে পদ্মা নদীর রাজবাড়ী অংশে তিন কিলোমিটার চর জেগেছে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে এ নৌপথে ফেরি চলাচল। এ পথ দিয়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার মানুষ যাতায়াত করেন। বর্তমানে পদ্মার চরে একমাত্র বাহন ঘোড়ারগাড়ি। প্রতিদিন ১০-১২টি ঘোড়ারগাড়িতে যাত্রী পারাপার হয় পদ্মার চরে। এতে ঘোড়ারগাড়ি চালকরা ভাড়া নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

ঘোড়ারগাড়িচালক মো. অশিক শেখ বলেন,  এই চর দিয়ে এখন হাজার হাজার মানুষ খেয়াঘাটে পৌঁছায়। ঘোড়ারগাড়ি ছাড়া বর্তমানে এখানে অন্য কোনো বাহন নেই। তাই যাত্রী এবং চালক উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। একাধিক যাত্রী জানান, বছরের বেশির ভাগ সময় জৌকুরা-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে পদ্মা পার হতে হয়। এখানে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। দীর্ঘ চরে নেই পুলিশের কোনো টহল। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে সময় বাঁচাতে ইঞ্চিনচালিত নৌকায় পদ্মা পার হয়ে থাকেন।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর ধরে ফেরি চলাচল বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। কর্তৃপক্ষ শুধু জৌকুরা ফেরিঘাট রাখতে চায়। এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। ফেরিঘাটটি এখান থেকে গোদারবাজার কিংবা অন্য কোনো স্থানে নিলে সুবিধা হতো। ফেরিঘাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. সোহেল মিয়া দাবি করেন, তিন বছরের মধ্যে আট মাস ফেরি চলাচল করছে। বাকি সময় ফেরি চলেনি। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ইজারাদার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সড়ক বিভাগের উচিত ঘাট নিয়ে বিকল্প চিন্তা করা। হয় ঘাট চালু রাখতে হবে, নইলে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হবে। 

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে বি এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, পদ্মার বড় একটি অংশে চর জেগেছে। যেখানে ঘোড়ারগাড়িই একমাত্র ভরসা। ফেরি চলাচলের বিষয়টি নিয়ে গত সপ্তাহে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লেখা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে ফেরি বন্ধের বিষয়টি।

সর্বশেষ খবর