রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের এক দিন পর মাটির নিচে পুঁতে রাখা মোবারক আলী (৩৫) নামে কৃষক দলের এক নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যার পর গুম করতে লাশ মাটিচাপা দেয়। এ ব্যাপারে নিহতের মা মোছা. মমেনা খাতুন (৬৮) সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। নিহত মোবারক আলী কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের চরগনাই এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মোবারক আলী বাসা থেকে বের হয়ে কাউনিয়ার শাহী মার্কেটের উদ্দেশে রওনা হন। রাত সোয়া ৯টার দিকে স্থানীয় আজিজুল ইসলামের মুদি দোকান থেকে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার সময় তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয় আজগর আলীর জমিতে মোবারকের ব্যবহৃত টর্চলাইট ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরিবারের পক্ষ্য থেকে এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় নিখোঁজ-সংক্রান্ত জিডি করা হলে পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। একই দিন সন্ধ্যায় পুলিশের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
শুক্রবার রাতে বিশ্বনাথ এলাকায় মামলার আসামি নজরুল ইসলামের বাড়ির পশ্চিম পাশে রান্নাঘরের পেছনে নতুন খোঁড়া মাটিতে গাছ লাগানো অবস্থায় দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুঁড়ে প্রথমে মোবারকের লুঙ্গি এবং পরে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নজরুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যান। কাউনিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালকালে দেখা যায়, মোবারকের মাথা, পিঠ, মুখের চোয়াল থেকে গলার অংশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কাউনিয়া থানার (ওসি) আবদুল লতিফ শাহ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামি বিশ্বনাথ এলাকার কোমল বৈরাগীর ছেলে মো. নজরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।