রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
পুরান ঢাকায় আগুন

লাইফ সাপোর্টে সেই নবদম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ নবদম্পতি আশিকুজ্জামান ও মুনা সরকার খানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। দুজনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।

গতকাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, গত শুক্রবার সকালে ভর্তির পর থেকে তাদের আর জ্ঞান ফেরেনি। দুজনের অবস্থা খারাপ হতে থাকায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইসিইউতে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এদিকে স্বজনরা জানিয়েছেন, মুনা সরকার ও আশিকুজ্জামানের দেড় মাস আগে বিয়ে হয়। মুনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আশিকুজ্জামান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র। আইসিইউতে থাকা বাকি দুজন হচ্ছেন খোরশেদ আলম ও শাফায়েত হোসেন। খোরশেদের শরীরের ২২ ও শাফায়েতের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ডা. সামন্ত লাল বলেন, এ ঘটনায় আরও ১৬ জন বার্ন ইউনিটের পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি আছেন। তাদের কারও শরীর আগুনে না পুড়লেও ধোয়ায় শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। কাউকেই আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলায় গত শুক্রবার ভোরে হাজি মুসা ম্যানশন নামের ছয়তলা আবাসিক ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। সেই আগুনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। আগুনে দগ্ধ ও ধোঁয়ায় শ্বাসনালি পুড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, গোটা ভবনের দায়িত্ব নিয়েছে পুলিশ। ভবনের মূল গেট ও মার্কেট তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকালের দিকে হঠাৎ ভবনের ভিতর থেকে প্রচন্ড ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে আসে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান, তারা ভিতরে ঢুকে ধোঁয়া দেখতে পান।

তবে এটি নতুন কোনো ধোঁয়া নয়। শুক্রবার আগুন নেভানোর পরও কিছু কিছু জায়গায় ধেঁাঁয়া জমে ছিল, সেগুলো বের হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এদিকে গতকাল সকালে আরমানিটোলার আগুনের ঘটনাস্থল হাজী মুসা ম্যানশন পরিদর্শনে যান বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পার্কের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে আশপাশের কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সিরাজদিখানে চলমান প্রকল্পের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছি। ব্যবসায়ীদের সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে তারা এখানে একটা শোরুম রাখতে চান। তারা চান ওয়ারহাউজগুলো দূরে রাখতে। প্রকল্পের জমি নেওয়া হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি ভরাট শুরু হবে। ছয় মাসের মধ্যে মাটি ভরাট কাজ শেষ হবে। আশা করছি ২০২২ সালে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

সর্বশেষ খবর