বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেরিয়ে আর বাসায় ফিরেনি আবুল কাশেম। তার লাশ পাওয়া যায় বাসার অদূরে একটি হাসপাতালের কাছে। তার শরীরে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন। কাশেমের বড় ভাই জাকির হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। কাশেমের ছয় বন্ধুকে আসামি করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পারে না পুলিশ। মামলার তদন্ত ধামাচাপা পড়ে। জাকির হোসেন তার ভাইয়ের হত্যার বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্থানে ধরনা দেন। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গোয়েন্দারা নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে পেরিয়ে যায় সাড়ে পাঁচ মাস। আসামিরা কেউ গ্রেফতার হয় না। এক সকালে ধানখেতে মিলল জাকির হোসেনের লাশ। ছোট ভাই খুনের মামলার বাদী জাকির হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সাড়ে পাঁচ মাসের ব্যবধানে দুই ভাই খুনের পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক। ঘটনাটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাইঘর গ্রামের। ভাইয়ের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে তিনি যখন তৎপর তখন নিজেই হলেন খুনের শিকার। বাদী খুন হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। গোয়েন্দারা নড়েচড়ে বসে। খুনিদের গ্রেফতারে তারা নানা তৎপরতা শুরু করে। জাকির হোসেন হত্যাকান্ডে থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী ফারজানা। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আবুল কাশেম খুনের রহস্য উদঘাটনে চারদিকে সোর্স নিয়োগ করে গোয়েন্দারা। তাদের কাছে খবর আসে, কুমিল্লার কবির আহাম্মদ যিনি কাশেম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি, তাকে সিলেটে দেখা গেছে। কখনো রিকশাচালক, কখনো দিনমজুর হিসেবে ছদ্মবেশে দেখা যাচ্ছে তাকে। এ খবর পেয়ে পুলিশ সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার হাজীপুর এলাকা থেকে কবির আহাম্মদকে গ্রেফতার করে। তাকে ব্যাপক জেরা করা হলে বেরিয়ে আসে দুই সহোদর হত্যা মামলার রহস্য। জেরার মুখে কবির গোয়েন্দাদের জানায়, ‘বন্ধু আবুল কাশেম তার কাছে ২ লাখ টাকা পেত। এ টাকার জন্য খুব তাগাদা দিচ্ছিল। এক গভীর রাতে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে আবুল কাশেমকে বাসার বাইরে ডেকে নিয়ে আসি। আমরা বন্ধুরা মিলে তাকে নিয়ে যাই উপজেলা সদরের পশু হাসপাতালের পাশের বাগানে। সেখানে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো কোমলপানীয় পান করানো হয় আবুল কাশেমকে। একপর্যায়ে কবিরসহ ছয়জন মিলে কাশেমকে খুন করি। পরে পালিয়ে যাই সিলেটে। সিলেটে গিয়ে নিকটাত্মীয়দের সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরের কাজ করি। ছদ্মবেশ নিয়ে থাকি। পরে আমার পরিকল্পনায় খুন করা হয় মামলার বাদী জাকির হোসেনকে। ওই ঘটনায় অংশ নেয় চারজন।’ পুলিশ জানায়, আবুল কাশেম বন্ধুকে উপকার করতে টাকা ধার দিয়েছিল। কিন্তু কবির আহাম্মদ তার প্রকৃত বন্ধু ছিল না। বন্ধু চিনতে ভুল করেছে। যে কারণে আবুল কাশেম নিজেই নয়, খুন হতে হয়েছে তার বড় ভাইকেও।
শিরোনাম
- মাদারীপুরে দাফনের দেড় মাস পর ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন
- রূপগঞ্জে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আইন শিক্ষার্থীদের বুট ক্যাম্প
- ফ্লোরিডায় তিন খুনের দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- চট্টগ্রামে তিন শতাধিক মানুষ পেল চিকিৎসা ও ওষুধ
- ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
- দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
- পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
- টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬
- আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেল ১,১৯২ কেজি ইলিশ
- তেঁতুলিয়ায় পানিবন্দি ২০ পরিবারের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপির উদ্যোগ
- যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- চট্টগ্রামের সড়ক যেন মৃত্যুকূপ, ছয় মাসে নিহত আড়াইশো
- জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবলে টাঙ্গাইলকে ৪-১ গোলে হারাল নেত্রকোনা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭
- রাঙামাটি লিগ্যাল এইডে সমাধান হবে ৮ মামলা
- নারায়ণগঞ্জে ২২৪ মন্ডপে দুর্গাপূজা
- ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
- রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায় বিএনপি : আমীর খসরু
- নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদি
দিনমজুরের বেশে ছিল খুনি
মির্জা মেহেদী তমাল
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি