মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যায় হিট স্কোয়াডে ছয়জন

সাজনের বাসায় বৈঠক, ফুটেজে শনাক্ত শাহ আলম ও নাজিম, অন্তুর বাড়িতে দুপুরে খেয়েছেন অভিযুক্তরা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যায় হিট স্কোয়াডে ছয়জন

সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে কুমিল্লার কাউন্সিলর ও তার সহযোগীকে হত্যাকারীরা

কুমিল্লায় প্রকাশ্য দিবালোকে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় হিট স্কোয়াডে ছিলেন ছয়জন। খুনের আগে মামলার ৫ নম্বর আসামি সাজনের বাসায় বৈঠক হয়। এদিকে এজাহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলম ও নাজিমের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। ২৮ সেকেন্ডের ওই ফুটেছে দেখা যায় শাহ আলম ও নাজিম গুলি করতে করতে দৌড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাহ আলম ও নাজিমকে চিহ্নিত করেছি। তথ্যানুসন্ধানে আমরা নিশ্চিত হয়েছি হিট স্কোয়াডে ছিলেন ছয়জন। তারা হলেন এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি জেল সোহেল, ৩ নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজন। এ ছাড়া স্থানীয় নাজিম নামে এক যুবক ও ফেনী থেকে আগত অজ্ঞাত এক আসামি রয়েছেন।’ পুলিশ কর্মকর্তা সোহান সরকার আরও বলেন, ‘অনুসন্ধানে আমরা আরও জানতে পেরেছি সাজনের বাসায় বৈঠক শেষে কিলিং মিশনে আসেন অন্য আসামিরা।’ সোহান সরকার আরও জানান, কিলিং মিশনে থাকা অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে মহানগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলর কার্যালয়সংলগ্ন থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা। গুলিবিদ্ধ হন আরও পাঁচজন। জোড়া খুনের ঘটনায় ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

অন্তুর বাড়িতে দুপুরে খেয়েছেন অভিযুক্তরা : কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে হত্যার দিন দুপুরে অন্তুর বাড়িতে সাত অভিযুক্ত ভাত খেয়েছিলেন। পরে অন্তু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ডেকে এনে তাদের তুলে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। পুলিশ ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়ার নুর আলীর ছেলে জিসান মিয়াকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এ জোড়া খুনে ছয়জন গ্রেফতার হয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কায়সার হামিদ বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি জিসানকে রবিবার গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকা থেকে এবং একই সময়ে অন্তুকে জেলার দেবিদ্বার থেকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অন্তু মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও তদন্তে তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলর কার্যালয় সংলগ্ন থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর