বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ভয়াবহ ভাঙন তিস্তায় পানি বাড়ছে যমুনায় অনেক স্কুল বন্ধ

প্রতিদিন ডেস্ক

ভয়াবহ ভাঙন তিস্তায় পানি বাড়ছে যমুনায় অনেক স্কুল বন্ধ

লালমনিরহাটে বন্যার পানি ওঠায় বন্ধ বিদ্যালয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে গত চার দিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে, তিস্তার পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।

সিরাজগঞ্জ : পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে গত চার দিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এর আগে পানি কমায় যেসব জমিতে শাকসবজি আবাদ করা হয়েছিল তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমন ধান রোপণের মৌসুমে পানি বাড়ায় ধান আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছে কৃষকরা। অন্যদিকে পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এনায়েতপুরে ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

লালমনিরহাট : উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি। নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে গত দুই দিন ধরে লালমনিরহাটের ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নীলফামারী : বর্তমানে  ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার  ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে পানির বেগে ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এলাকার স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালির বাঁধটির ২০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম : দুই দিন ধরে পার্শ্ববর্তী ডালিয়া ব্যারাজ খুলে দেওয়ায়  জেলার নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই। তারপরও নদ-নদীর অববাহিকার মানুষজন বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন।

রংপুর : জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার দুটি ইউনিয়নে হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। অনেক স্থানে জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

রংপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, বর্তমানে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর