বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডায়নাকে হত্যা করেন যৌন নিপীড়নে অতিষ্ঠ লাদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যৌন নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে ট্রান্সজেন্ডার মাকসুদুর রহমান ওরফে ডায়নাকে (৪৮) হত্যা করেন গৃহকর্মী শোয়েব আক্তার লাদেন। শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে লাদেনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার এই রহস্যের কথা জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় ১১ দিন পর যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ থেকে ডায়নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লাদেন ডায়নার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চরিতার্থের কথা স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি বিয়ে করে তিনি মুক্তি চাইছিলেন ডায়নার কাছ থেকে। কিন্তু ডায়না তাকে ছাড়তে চাইছিলেন না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বেলা ১১টায় এসব জানান ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জিয়াউল আহসান তালুকদার।

তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে বাসার টেবিলে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় আঘাত করেন লাদেন। ২৭ আগস্ট গোলাপবাগের ওই বাসা থেকে ডায়নার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এক তলা ওই বাড়িতে ডায়না একাই থাকতেন। তার ছয় ভাইবোন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি নিজেও আগে সেখানে থাকতেন। দুই বছর আগে দেশে ফিরে গোলাপবাগে নিজেদের ওই বাসায় তিনি থাকতে শুরু করেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এক ফুপাতো ভাই গত শনিবার পুলিশে খবর দেন। এরপর ডায়নার বাসায় গিয়ে ভিতরে লাশ পায় পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডায়নাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার লাদেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে লাদেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ট্রান্সজেন্ডার ডায়না সমাজের কারও সঙ্গে মিশতেন না। আর লাদেন তার বাসায় কাজ করতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে লাদেন অন্য একজনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও লাদেন ও ডায়নার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে। কিন্তু লাদেনের ওই বিয়ে আর নতুন জীবন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ডায়না। আর লাদেনও চাইছিলেন ডায়নার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে মুক্ত জীবনে ফিরতে।

সর্বশেষ খবর