বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
উদ্বোধন হচ্ছে দুই বড় প্রকল্প

বঙ্গবন্ধু টানেল গাড়ি চলাচলে প্রস্তুত

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু টানেল গাড়ি চলাচলে প্রস্তুত

গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত দক্ষিণ এশিয়ার নদীর তলদেশে প্রথম সুড়ঙ্গ পথ বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি হওয়া টানেলটির একটি টিউব ২৬ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে টানেলের একটি টিউব উদ্বোধন করা হলেও বিশেষায়িত প্রকল্প হওয়ায় যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হবে আগামী জানুয়ারিতে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, ২৬ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী একটি টিউবের উদ্বোধন করবেন। তবে অন্য টিউবের কাজ শেষ হওয়ার পরই পুরোদমে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে টানেল। বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘টানেলের ভৌতিক কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে প্রকল্পের ভৌতিক কাজ শেষ হলেও বিশেষায়িত প্রকল্প হওয়ায় নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই পুরোদমে চালু হতে কিছুটা বিলম্ব হবে।’ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ। এর মধ্যে দুই টিউব, তিনটি ক্রস প্যাসেজের কাজ, ভায়াডাক্টম উভয় টিউবের পেভমেন্ট স্লেভের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। পূর্ব অংশ ও পশ্চিম অংশের রেইন শেল্টারের আর্ক মেশ শেল ইনস্টলমেন্ট ও পেইন্টিং কাজ শেষ হয়েছে। উভয় প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন। টানেল নির্মাণ এলাকার উভয় প্রান্তে সারফেসে মিঠা পানির প্রবাহের লক্ষ্যে দুটি করে চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। টানেলের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ওয়্যার্সের মধ্যে কেবল কানেকশন, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, লাইটিং কাজ চলমান থাকলেও জেট ফ্যান ইনস্টলমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। উভয় প্রান্তের অ্যাপ্রোচ সড়কের ৫ হাজার ৩৫০ মিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৯৮ শতাংশ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, বঙ্গবন্ধু টানেল হতে যাচ্ছে দেশে অর্থনীতির গেম চেঞ্জার। এ টানেলের মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। নতুন মাত্রা যোগ হবে পর্যটন শিল্পে। টানেলের অপরপ্রান্তে গড়ে উঠবে ভারী শিল্প এলাকা। ওই এলাকা অর্থনৈতিক হাব হিসেবে পরিণত হবে। চীনের সাংহাই নগরীর আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারা উপজেলাকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’-এর আদলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। এ টানেলের এক প্রান্তে রয়েছে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা। অন্যপ্রান্তে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্রবন্দর। এ টানেল শহর এবং গ্রামকে এক সুতোয় সংযুক্ত করবে। বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পের যৌথ অর্থায়ন করেছে।

সর্বশেষ খবর