শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
মানবতাবিরোধী অপরাধ

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মজিদ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল মজিদকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার রাতে মাদারীপুর সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আবদুল মজিদ দীর্ঘদিন পলাতক থেকে একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছিলেন। অভিযোগ রয়েছে- যুদ্ধের সময়ে আবদুল মজিদ নেত্রকোনায় একাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে কংস নদীতে ফেলে দেন এবং অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের মৃতদেহ কোকখালী নদীতে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেন। এই হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি তারা আবদুল খালেকের বাড়িতে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেন। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আবদুল মজিদসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত মুক্তিযোদ্ধার ভাই আবদুল কাদের। পরে মামলার তদন্তে এ ঘটনায় আরও তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ প্রসিকিউশনে প্রমাণিত হয়। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩৬তম রায়। বিচার চলাকালে এই মামলার দুজন আসামি (আহম্মদ আলী ও আবদুর রহমান) মারা যান। আর রায় হওয়ার পর পলাতক অবস্থায় মারা যান আরও দুই আসামি (রদ্দিন মিয়া ও আবদুস সালাম বেগ)। মামলার আরও দুই আসামি আবদুল খালেক তালুকদার ও কবির খাঁ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। মজিদের বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে আবদুল মজিদ তার নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন। ফকিরাপুল এলাকায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর আত্মীয়ের সহযোগিতায় মাদারীপুরে গিয়ে আত্মগোপন করেন এবং একটি কামিল মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন কখনো আদালতে হাজিরা দেননি। পলাতক অবস্থায় ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করতেন মজিদ। এ সময় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি সিম দিয়ে। তার ছেলেমেয়েরা আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ায় প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য তাকে নিয়মিত টাকা পাঠাত।

 

 

সর্বশেষ খবর