শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

লাইনচ্যুত ওয়াগনের তেল কর্ণফুলীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

লাইনচ্যুত ওয়াগনের তেল কর্ণফুলীতে

খাল থেকে তেল সংগ্রহ করতে দেখা যায় স্থানীয়দের -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রামে লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগনের ৬০ হাজার লিটার তেল কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এই আশঙ্কা বাস্তবতা পেলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে। তবে রেলওয়ের দাবি, তেল ছড়িয়ে পড়েনি। বাঁধ দিয়ে ঠেকানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে রেলওয়ের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগান লাইনচ্যুত হয় গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায়। এর মধ্যে দুটি ওয়াগান থেকে প্রায় ৬০ হাজার লিটার তেল পড়ে গেছে। এসব তেল নালা থেকে খাল হয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, ট্রেনটিতে ১৬টি ওয়াগান ছিল। প্রতিটি ওয়াগানের তেল ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার লিটার। দুটি ওয়াগান থেকে প্রায় সব তেল (৬০ হাজার লিটার) পড়ে গেছে। বুধবার মেঘনা পেট্রোলিয়াম থেকে ওয়াগনগুলো জ্বালানি তেল বহন করছিল। এর মধ্যে ৬০১৮৪ নম্বর ওয়াগনে ২৯ হাজার ৫৪৯ লিটার এবং ৬০৩৩৪ নম্বর ওয়াগানে ৩০ হাজার ৯৪ লিটার ডিজেল ছিল। ওয়াগান ও তেল রেলওয়ের নিজের। সিজিপিওয়াইএর পরিদর্শক এনামুল সিকদার বলেন, ঘটনার পর পরই খালে বাঁধ দিয়ে তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সম্পূর্ণরূপে তেল পড়া বন্ধ করা হয়। তবে কী পরিমাণ পড়েছে তা এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়লে পানি, পরিবেশ এবং মাছের জন্য মারাত্মক হুমকি হবে। বিপর্যয় ঘটবে পরিবেশের। পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগারের উপপরিচালক কামরুল হাসান বলেন, গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) তারেক মুহাম্মদ ইমরান বলেন, তেল পড়া বন্ধ হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর