সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো বাবার মুখ দেখার সুযোগ করে দেবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। মৃত্যুর পর কাঁটাতারের কাছে বাবার লাশ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সন্তান ও স্বজনরা। অপেক্ষার প্রহর বাড়লেও শেষ পর্যন্ত বাবার লাশ দেখার অনুমতি মেলেনি বিএসএফের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত লাশ না দেখেই ফিরতে হলো সন্তান ও স্বজনদের। মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিন দফাদার বার্ধক্যজনিত কারণে বুধবার বিকালে ইন্তেকাল করেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে বসবাস করছেন। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ওপারে কাঁটাতারের কাছে অপেক্ষা করেন সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনরা। বৃহস্পতিবার বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফকে চিঠি দিলে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০৫ নম্বর পিলারে লাশ দেখানোর কথা ছিল স্বজনদের। কিন্তু বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি না পাওয়ায় শেষবারের মতো বাবার মুখ না দেখেই ফিরতে হয়েছে সন্তান ও স্বজনদের। মৃত রবিন দফাদারের ছেলে বলেন, গার্ড অব অনার শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে বিজিবির কাছে আবেদন করা হয় কাঁটাতারের ওপারে তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে তাদের যেন শেষবারের মতো লাশ দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১১টার সময় স্বজনদের লাশ দেখানোর কথা ছিল। লাশ নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত বিএসএফ অনুমতি দেয়নি দেখার।
মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য দিলীপ মণ্ডল বলেন, এখানকার বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফের সঙ্গে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন যোগাযোগের। ছেলে এবং মেয়েকে তার বাবার লাশ দেখানোর জন্য, কিন্তু সেটা হয়নি। তবে এর আগে এখানকার একটা মেয়ে মারা গেছিল সেটা দেখানো হয়েছিল।