জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবীর বলেছেন, কারিকুলাম নাকি আনা হয়েছে উন্নত বিশ্ব থেকে। কিন্তু উন্নত বিশ্বের মতো শিক্ষার হার, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতনতা তো আমাদের দেশে নেই। পরিবর্তন সমাজে এমনভাবে হতে হয় যেন সমাজ সেটি গ্রহণ করতে পারে। হঠাৎ করে চাইলেই তো সমাজ পরিবর্তন হবে না। আমাদের কারিকুলাম বাস্তবায়নের অবস্থা হয়েছে এমনই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) সাবেক এ মহাপরিচালক বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে শেখানো দরকার সেই উপকরণ, শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা তো আমাদের নেই। ছাত্রদের শেখানোর আগে শিখতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষকদের মাইন্ডসেট যতক্ষণ পর্যন্ত ঠিক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারবেন না। কিন্তু শিক্ষকদের তৈরি না করেই শেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার দরকার নেই। এমন হলে প্রকৃত শিক্ষা হয় না। এ শিক্ষাবিদ বলেন, অভিভাবকরাও নতুন কারিকুলামের সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। তারা চায় ক্লাসে গিয়ে ভালো পরিবেশে সন্তানরা শিখবে। ক্লাসে গিয়ে যদি কৃষিকাজ বা বাসাবাড়ির কাজ শিখতে হয় তাহলে তো অভিভাবকরা বলবেই স্কুলে না গিয়ে বরং সন্তান খেতেই কৃষিকাজ করুক। তাই এই কারিকুলাম এ মুহূর্তে ফলপ্রসূ হবে না। উন্নত দেশের মতো পরিবেশ, শিক্ষার হার, সচেতনতা এ দেশে নেই। স্কটল্যান্ডে গিয়ে দেখেছি তাদের শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৩। কিন্তু আমাদের দেশের চিত্র কি এমন? উন্নত দেশের সবকিছু তো এ দেশে কাজ করবে না। বলা হচ্ছে, চাকরির পরীক্ষা নয় বরং দক্ষতা দিয়ে চাকরি পাবে তরুণ-তরুণীরা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আসলেই যদি পরীক্ষা না দিয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ থাকে তবে যাদের চাকরি পাওয়ার কথা তাদের কেউই চাকরি পাবে না। যাদের দক্ষতা থাকবে না তারাই অনিয়ম, দুর্নীতি, আর্থিক লেনদেনের আশ্রয় নিয়ে চাকরি পাবে। আমি মনে করি নতুন কারিকুলাম স্থগিত করে শিক্ষকদের অধিকতর প্রশিক্ষণ দিয়ে এর উপযোগী করা উচিত। একই সঙ্গে সমাজ যেন নতুন কারিকুলামের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এ জন্য সমাজকেও প্রস্তুত করা উচিত। এরপর নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা উচিত।
শিরোনাম
- ফেনীতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এক ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
- কুয়েত চেম্বারে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের বিশেষ সভা
- শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
- দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু
- জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
- সিদ্ধিরগঞ্জে অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
- ফেনীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
- বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য শাবিপ্রবির চার পদক্ষেপ
- যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল মিললো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ
- ঝিনাইদহে মাছ ধরা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১২
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় কমিশন
- শ্রীবরদীতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ উদ্ধার
- দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
- ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামাকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
- চাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের আবেদনে মনোনয়নের সময় একদিন বাড়াল কমিশন
- ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
- নতুন মামলায় আনিসুল-আমুসহ ৮ জন গ্রেফতার
- দিনাজপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেলপথ ও সড়ক অবরোধ
- বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিল গেটসের কেন অদম্য কৌতূহল
- পরিবহন পুলের ৪০৬ জন গাড়ি চালকের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত