রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছে কর্মপরিকল্পনা। তবে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ করে মতামত নেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়া হতে পারে। গতকাল প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় তারা নির্বাচনি আইনকানুন নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া নির্বাচনব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন, স্থানীয় নির্বাচনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে পর্যালোচনা করবে কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও ভোটের অধিকারহীনতার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। তবে কমিশনের পরবর্তী বৈঠক আগামী রবিবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বৈঠক শেষে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আমরা যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করব; এগুলো নিয়ে ভেঙে ভেঙে আলোচনা করেছি। একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা করছি। একটি টাইম ফ্রেম থাকবে, যাতে এই কাজগুলো শেষ করতে পারি। কোথায় অফিস করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস এখানে (নির্বাচন ভবন) হবে। পরবর্তী বৈঠক আগামী রবিবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বৈঠক শুরুর আগে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনিব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে এ কমিশন সব অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। তবে তাদের সঙ্গে সংলাপ করব, নাকি অনলাইন বা ইমেইলে নেব সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’-এর আনুষ্ঠানিক দ্বিতীয় বৈঠক প্রাক্কালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, সময় কম, তবুও আমরা অংশীজনের যতটুকু সম্ভব আলাপ-আলোচনা করব। এর পরে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেব। রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলাদা সংলাপ করবেন কিনা জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহেমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ করে আপনাদের (নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের) সঙ্গে আলাদা করে বসব। আমাদের জন্য সংলাপের চেয়ে সুপারিশ তৈরি করা প্রধান কাজ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকারই ডায়লাগ করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বড় ধরনের সংলাপ করতে পারব বলে মনে হয় না। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর আটজনের এ কমিশন গঠিত হয়। ৯০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।