ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা বলেছেন, বাবরের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। তবে বর্তমানে অ্যাজমার সমস্যা তাঁকে বেশি ভোগাচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর দুই পা ফুলে গেছে। রক্তনালি দিয়ে রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এমনটা হতে পারে। প্রস্রাব চেপে রাখতে পারছেন না। আগে থেকেই কিডনির সমস্যা থাকায় এমনটি হতে পারে। বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় বেশ কিছু টেস্ট করতে বলা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে কিছু ওষুধ। টেস্ট রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা কী নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
গতকাল কারাগারে গিয়ে তাঁরা বাবরকে দেখেন। কারাগারের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) চিঠি দিলে চার সদস্যের এ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক বিএসএমএমইউর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের এ হাসপাতালেই নিয়মিত চেকআপে ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। কিন্তু পট পরিবর্তনের পর বেশ কিছুদিন তিনি চেকআপ করাতে পারেননি। এর ফলে তাঁর পুরনো সমস্যাগুলো বেড়েছে। একই সঙ্গে দুই পা ফুলে গেছে। তাঁর ঘাড় ও কোমরের হাড্ডি ক্ষয় সমস্যা রয়েছে। দাঁতে ইনফেকশন হওয়ায় খাবার খেতে সমস্যা হচ্ছে। শ্বাসকষ্টের পুরনো সমস্যাও রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে তাঁর পুরনো ওষুধের সঙ্গে নতুন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিছু টেস্ট করতে বলা হয়েছে। ওই টেস্ট রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এ এম মাসুম বলেন, ‘চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খুব ভালোভাবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সমস্যাগুলো দেখেছেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদ দিয়েছেন আদালত। বাবর ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও তিনি মৃত্যুদ প্রাপ্ত।