মুদ্রাস্ফীতি দেশে এখন দুই অঙ্কের কাছাকাছি এবং সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী রাজস্ব ও মুদ্রানীতি গ্রহণ জরুরি।
গতকাল রাজধানী ঢাকার শেরাটন হোটেলে অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ২০২৫-২৬ জাতীয় বাজেটের জন্য রাজস্ববিষয়ক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি), ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুর রহমান খান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা- এ দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা। তাই এ বাজেটে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কর পদ্ধতিগুলোকে সহজীকরণ করতে, যাতে ব্যবসায়ী শ্রেণির জন্য প্রক্রিয়াগুলো সহজ হয়, নিয়ম মানার খরচ কমে। ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস- এ তিন ক্ষেত্রেই। তবে যেন রাজস্ব আয় কমে না যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়িক কর হার কমানো হয়েছে জানিয়ে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, করহার বিষয়ে, বিশেষ করে করপোরেট ট্যাক্স হারের কথা বললে আমরা আমাদের করহার ধীরে ধীরে কমিয়েছি, যাতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা যায় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যায়। আগের অর্থবছরগুলোয় আমাদের করপোরেট করহার ছিল ৫০ শতাংশ পর্যন্ত, আর এখন তা কমে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।
মূল প্রবন্ধের আলোচনায় ড. মাসরুর রিয়াজ বাংলাদেশের অর্থনীতির মুখোমুখি ভয়াবহ চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের কাছাকাছি এবং সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী রাজস্ব ও মুদ্রানীতি গ্রহণ জরুরি।