ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ৩৫টি অফিসে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় কয়েকজনকে জেল-জরিমানা করা হয়। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল এ অভিযান পরিচালনা করে বলে সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিআরটিএর ঢাকার সাভার অফিস, বাগেরহাট, বরিশাল, বগুড়া, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, দিনাজপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, জয়পুরহাট, পাবনা, বরগুনা, ঝালকাঠি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, শেরপুর, রাঙামাটি ও ঢাকার উত্তরা অফিসে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, অবৈধভাবে ঘুষের বিনিময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িকে ফিটনেস দেওয়ার অভিযোগে বিআরটিএর উত্তরা অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিআরটিএ অফিসের আশপাশে দালালদের দৌরাত্ম্য লক্ষ করা যায়। মোটরযান পরিদর্শক লাভলু শিকদারের হোয়াটসঅ্যাপে বিকাশ লেনদেন-সংক্রান্ত কথোপকথন পাওয়া যায়। এ ছাড়া যেসব গাড়ি ফিটনেস দেওয়া হয়েছে সেগুলোর রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। দুদক জানায়, যশোর বিআরটিএ অফিসে তিন দালাল হাতেনাতে আটক হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজনকে ১ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অপরজনকে একই পরিমাণ অর্থদণ্ডসহ তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শেরপুরে ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতা সেজে অভিযান চালানো হলে অফিসের কিছু স্টাফের সঙ্গে দালাল ও অফিস-সংলগ্ন কম্পিউটার দোকানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। নীলফামারীতেও দুজন দালাল হাতেনাতে আটক হন এবং তাদেরও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বাগেরহাটে আউটসোর্সিং কর্মীদের মোবাইল ফোনে অস্বাভাবিক লেনদেন ও টাকা আদান-প্রদানের বার্তা পাওয়া যায়। পরীক্ষা খাতা পর্যালোচনায় দেখা যায়, অনেকে ফেল করলেও অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে পাস করানো হয়েছে।