ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসারে মুজিববর্ষে সিলেটে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’ করতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এজন্য তিনি জায়গা দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। জায়গা পেলে মুজিববর্ষেই এই ট্রেড সেন্টারের কাজ শুরু করতে চান তিনি।
গত শনিবার রাত ৯টায় নগরীর টিলাগড়ে ‘কাউন্সিলর আজাদ কাপ ফুটসাল টুর্নামেন্ট’র ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সিলেটে খেলার মাঠে অভাব। আগে নগরীর ভেতরে যেসব স্থানে খেলার মাঠ ছিল সেসব স্থানে এখন বাসা-বাড়ি হয়ে গেছে। ফলে শিশু-কিশোররা খেলাধুলার সুযোগ না পাওয়ায় জাতীয় পর্যায়ে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। জাতীয় পর্যায়ে যারাই খেলছে তাদের বেশিরভাগই গ্রাম থেকে উঠে আসা। শহরে কিছু মাঠ তৈরি করে দেওয়া গেলে আরও বেশি করে খেলোয়াড় তৈরি সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, সিলেটের ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ও খেলার মাঠে মেলা আয়োজন বন্ধ করতে হলে একটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হওয়া প্রয়োজন। মুজিববর্ষেই এই ট্রেড সেন্টারের কাজ শুরু করা সম্ভব। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ভালো কাজে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার করা গেলে সারা বছরই সেখানে নানারকম মেলার আয়োজন করা সম্ভব হবে। এতে খেলার মাঠ নিয়ে আর টানাটানি করা লাগবে না। সিলেটের ব্যবসায়-বাণিজ্যেও নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। তিনি ট্রেড সেন্টারের জন্য শহরের বাইরে বড় জায়গা দেখার পরামর্শ দেন।
টুর্নামেন্টের প্রবর্তক সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবীর, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন, যুক্তরাজ্যের কিলবান এন্ড ওয়েস্টহ্যাম সিটির কাউন্সিলর নাজমা রহমান স্বপ্না, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক শিল্পপতি আতাউল্লাহ সাকের প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার